1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির ঘটনায় উত্তেজনা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ - RT BD NEWS
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি ঝিনাইদহে লিচু গাছে উঠে পড়ে দিনমজুরের মর্মান্তিক মৃত্যু পিরোজপুরে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত বজ্রপাতে মৃত দুই কৃষক পরিবারকে তারেক রহমানের মানবিক সহায়তা পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা শাহবাগে খালেদা জিয়া এলে পৃথিবীর সবচেয়ে স্বর্গীয় দৃশ্য হতো’—পিনাকী হামলার আশঙ্কায় ভারতজুড়ে নিরাপত্তা ২৪ বিমানবন্দর ও বন্দর স্থগিত ভারত-পাকিস্তান ড্রোন যুদ্ধ: দক্ষিণ এশিয়ায় বিপজ্জনক অধ্যায়ের সূচনা যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বড় জমায়েত পাকিস্তানের আকাশসীমায় ৭৭টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির ঘটনায় উত্তেজনা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ

আরটি বিডিনিউজ অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির ঘটনায় উত্তেজনা

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির ঘটনায় রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশটির জনগণের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক এবং উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) আকস্মিকভাবে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল তার সরকারের বিরোধী দল, বিশেষ করে ডেমোক্রেটিক পার্টির বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড’ এর অভিযোগ তুলে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। তার এই সিদ্ধান্তের পর দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

পূর্ববর্তী ৫০ বছরের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন হঠাৎ সামরিক আইন জারি করা বিরল ঘটনা, যা গণতান্ত্রিক এই দেশে এক বড় ধরনের রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল তার বক্তব্যে বলেন, “উত্তর কোরিয়ানপন্থী গোষ্ঠী দেশটির নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে” এবং এরই মধ্যে বিরোধী দল, বিশেষ করে ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলেছেন।

এই পরিস্থিতিতে পার্লামেন্টের বাইরে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানাতে সমবেত হয় এবং প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোটাভুটির আয়োজন করেন আইনপ্রণেতারা। দ্রুত গতিতে এই ভোটাভুটিতে প্রেসিডেন্ট ইউন সুকের পক্ষ থেকে সামরিক আইনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। এর পর পরই, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

একই সময়ে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন গণমাধ্যমের মাধ্যমে এক বার্তায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “সামরিক আইন সংক্রান্ত সব ঘটনার জন্য আমি নিজেকে দায়ী মনে করছি। জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি এবং উদ্বেগ সৃষ্টির জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।” তিনি আরও বলেন, “এজন্য আমি প্রেসিডেন্টের কাছে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।”

এই ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের পদত্যাগের ব্যাপারে নানা রকম আলোচনা চলছে। বিশেষ করে, এর ফলে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল তার নিজ দলের মধ্যেও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারেন।

এটি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসের একটি বড় রাজনৈতিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে সামরিক আইন জারির মতো পদক্ষেপের ফলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং মানবাধিকারের প্রতি দেশটির জনগণের আস্থা পরীক্ষার মুখে পড়েছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট