দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল অবশেষে অভিশংসিত হয়েছেন। দেশটির আইনপ্রণেতাদের ভোটে দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় তাকে অপসারণ করা হয়। সামরিক আইন জারি করে তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করায় এ ঘটনা ঘটে। এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ইউন সামরিক আইন জারি করেছিলেন, যা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাহার করা হয়। এ সিদ্ধান্ত জনমনে বিভ্রান্তি ও বিরোধীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। বিরোধীদলগুলো তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
এর আগেও অভিশংসনের মুখে পড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন, তবে সে সময় ক্ষমতাসীন দলের সমর্থনে রেহাই পান। ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতারা ভোটাভুটির সময় সংসদ ত্যাগ করায় তিনি প্রথম দফা অভিশংসন এড়িয়ে যান।
বিরোধীরা দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করে এবং এবার তারা সফল হয়। সংসদের সামনে হাজারো মানুষ তার অপসারণের দাবিতে অবস্থান নেয়। বিরোধীদলগুলোর চাপ এবং জনমতকে কেন্দ্র করেই শেষ পর্যন্ত আইনপ্রণেতাদের ভোটে তিনি অভিশংসিত হন।
অভিশংসনের আগে এক টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইউন তার সমালোচকদের রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।” তবে অভিশংসনের পর তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অভিশংসনের পর দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। বিরোধীদলগুলো একে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই হিসেবে দেখছে। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলের অভিশংসন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এ ঘটনা দেশটির গণতান্ত্রিক কাঠামো ও ক্ষমতার ভারসাম্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এখন দেখার বিষয়, প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসনের পর দেশটির রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আসে।