বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চ মানসম্পন্ন চিনি আমদানি করেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এই চিনি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
দুই দশকের বেশি সময় পর পাকিস্তানের চিনি বাংলাদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এর আগে প্রধানত ভারত থেকে চিনি আমদানি করত বাংলাদেশ। তবে এবছর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর দেশটির চিনি শিল্প বৈদেশিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টন ৫৩০ মার্কিন ডলার। পাকিস্তান এ বছর প্রায় ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে, যার মধ্যে ২৫ হাজার টন বাংলাদেশে পাঠানো হবে। এছাড়াও পাকিস্তান থেকে থাইল্যান্ড ৫০ হাজার টন এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোসহ উপসাগরীয় ও আফ্রিকার দেশগুলোও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চিনি কিনছে।
পাকিস্তানের চিনি শিল্প দেশটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের খাত হিসেবে গড়ে উঠেছে। চলতি বছর ৮০টিরও বেশি চিনিকল উৎপাদন শুরু করেছে। মজিদ মালিক, পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ীদের একজন কর্মকর্তা, জানিয়েছেন যে এই রপ্তানি থেকে পাকিস্তান ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে।
বাংলাদেশের সাথে এই রপ্তানি চুক্তি শুধু দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক নয়, বরং পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি শিল্পের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে তুলে ধরেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাকিস্তান ভারতসহ অন্যান্য দেশের তুলনায় চিনি রপ্তানিতে নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদে বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশের চিনি আমদানিতে পাকিস্তানের এই অংশগ্রহণ বাণিজ্য বৈচিত্র্য এবং খরচ কার্যকর করার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে। চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর এই চিনির মান এবং বাজারে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নিয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।