বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসি এবার যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ বা রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার হোয়াইট হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেসির হাতে এ সম্মাননা তুলে দেবেন।
কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার পাশাপাশি পরপর দুটি কোপা আমেরিকা শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া এবং সমাজসেবামূলক কাজের জন্য মেসিকে এই পদকে ভূষিত করা হচ্ছে। মূলত শিশু স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সম্প্রসারণে তার ‘লিওনেল মেসি ফাউন্ডেশন’ ও ইউনিসেফের মাধ্যমে কাজ করাই তাকে এ সম্মাননায় এগিয়ে এনেছে।
হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “যারা এই পদক পাচ্ছেন, তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা, নিরাপত্তা জোরদার, উন্নয়ন ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তিগত, জাতীয় ও বেসরকারি পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।”
মেসির পাশাপাশি এবার ক্রীড়া বিভাগ থেকে এ পদক পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল কিংবদন্তি ‘ম্যাজিক জনসন’। ৬৫ বছর বয়সী এই বাস্কেটবল তারকা পাঁচবার এনবিএ লিগ শিরোপা জিতেছেন। অবসরের পর প্রায় তিন দশক ধরে তিনি এইচআইভি প্রতিরোধে জনসচেতনা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন।
২০২৩ সালের জুনে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) থেকে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর মেসি যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে নতুন যুগের সূচনা করেন। মেসির যোগদানের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং মাঠ ও মাঠের বাইরে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। এটি সাধারণত রাজনীতি, মানবাধিকার, ক্রীড়া, বিজ্ঞান, বিনোদন এবং এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করা ব্যক্তিদের দেওয়া হয়।
এবারের আয়োজনে মোট ১৯ জন বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই সম্মাননা পাচ্ছেন। এর মধ্যে ক্রীড়া বিভাগে মেসি ও ম্যাজিক জনসনকে এই সম্মান জানানো হচ্ছে।
খেলাধুলার পাশাপাশি মেসি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তার ফাউন্ডেশন শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ক্রীড়া উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া তিনি ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে অংশ নিচ্ছেন।
বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্তের কাছে মেসি শুধু একজন ফুটবল তারকাই নন, বরং একজন মানবিক আইকন হিসেবেও পরিচিত। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক তার মানবিক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।