1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
বন্দরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শামীম ওসমানের সহযোগী কাজী জহির, গ্রেপ্তারে নেই তৎপরতা - RT BD NEWS
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন

বন্দরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শামীম ওসমানের সহযোগী কাজী জহির, গ্রেপ্তারে নেই তৎপরতা

নারায়ণগঞ্জ (বন্দর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গা ঢাকা দেওয়া শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্দর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জহির এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তিনি ভূমিদস্যুতা, জমি দখল এবং নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার দাপট কমেনি বরং বিভিন্ন জায়গায় তিনি পুনরায় জমি দখলের চেষ্টা করছেন।

বন্দর পৌর যুবলীগ নেতা কাজী জহিরের বিরুদ্ধে একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি শামীম ওসমান ও পারভীন ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে বন্দর এলাকায় ভূমিদস্যুতা, দখলবাজি, চাঁদাবাজি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

কাজী জহিরের বিরুদ্ধে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হলো হাফেজ আনিছ হত্যা মামলা। বন্দরের সাবদী এলাকায় সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মামলাটি এখনো আদালতে প্রক্রিয়াধীন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে হাসিনা সরকার পতন হলে ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা-কর্মী আত্মগোপনে চলে যান। শামীম ওসমান ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

কিন্তু বন্দর এলাকায় যুবলীগ নেতা কাজী জহির এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি দিব্যি এলাকায় দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।

সম্প্রতি বন্দর থানায় যুবলীগ নেতা কাজী জহিরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী হাসান মিয়া। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, কাজী জহির তার জমি দখল করার চেষ্টা করেছেন এবং জমি দখল না পেরে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

হাসান মিয়া জানান, “আমার সম্পত্তি জোর করে দখলের চেষ্টা করছে কাজী জহির। আমি এর প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

স্থানীয়দের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও কাজী জহিরের অপরাধ কর্মকাণ্ড থামেনি। তিনি প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং তার দাপট আগের মতোই অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, অপরাধী শনাক্ত করা সত্ত্বেও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, কাজী জহিরের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তিনি আবারো অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজী জহির গণঅভ্যুত্থানের পর গা ঢাকা দিলেও সম্প্রতি তিনি বন্দরে জমি দখল, চাঁদাবাজি এবং ভূমি দখলের পরিকল্পনায় লিপ্ত রয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় ভুক্তভোগীদের জমি দখলের চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা ভাবছিলাম সরকার পরিবর্তনের পর এ ধরনের দখলবাজি থেমে যাবে। কিন্তু কাজী জহিরের মতো অপরাধীরা এখনো এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে।”

বন্দরের সাধারণ মানুষ কাজী জহিরের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি যথাসময়ে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে জমি দখল, চাঁদাবাজি ও দখলবাজির মতো অপরাধ আরও বৃদ্ধি পাবে।

একজন ভুক্তভোগী বলেন, “আমরা চাই সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। না হলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও বিপন্ন হয়ে পড়বে।”

গণঅভ্যুত্থানের পর শামীম ওসমানের সহযোগী কাজী জহিরের প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো এবং তার দাপটের বিষয়টি স্থানীয় জনগণের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে বন্দরে দখলবাজি ও অপরাধমূলক কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট