বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর কথিত হামলার অভিযোগ নিয়ে ভারতের বিজেপি সরকার সরব হয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে। বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা থেকে শুরু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে কলকাতার রাস্তায়।
এমন প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এসব কর্মকাণ্ডকে “বাড়াবাড়ি” আখ্যা দিয়ে বলেন, “এগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”
সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে বহু হিন্দু রয়েছেন। থানার বড় বাবু থেকে বিচারপতি, এসপি, ডিএম—সব জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এছাড়া মাদ্রাসার ছাত্ররা মন্দির পাহারা দিয়ে পুজা করার সুযোগ করে দিয়েছে। এসব ইতিবাচক বিষয় দেখা হয় না।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কোথাও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হয়ে থাকে, সেটি অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”
বাবরি মসজিদের বিষয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে সিদ্দিকুল্লাহ বলেন, “তখন মোদিজি বলেছিলেন, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন বাংলাদেশও তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একই অবস্থান নিয়েছে, যা যথাযথ।”অপরাধী বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “সন্ন্যাসী অপরাধ করলে সে অপরাধী, ইমাম অপরাধ করলে সেও অপরাধী। ভালো সন্ন্যাসী বা ইমাম কখনও অপরাধ করে না। আমি ৪০ বছর ধরে কাজ করছি। কেউ কি আমার বিরুদ্ধে কোনো থানায় মামলা দেখাতে পারবে?”
সিদ্দিকুল্লাহর এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে বিজেপির বাংলাদেশবিরোধী অবস্থানের বিপরীতে তার মন্তব্যকে ইতিবাচক ও ভারসাম্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।