মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করেন। তবে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন এবং বিষয়টিকে কূটনৈতিক আলোচনা বলে উল্লেখ করেন।
সোমবার, ১৭ মার্চ, মার্কিন স্থানীয় সময় নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও প্রায় ৬০ দিন ধরে দায়িত্বে আছেন। তার মতে, বাংলাদেশে হিন্দুদের পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন সরকারের মূল্যায়ন কী এবং তারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ট্যামি ব্রুস বলেন, “আপনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা বলছেন এবং আপনি যে প্রশ্ন তুলেছেন তা যথার্থভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়।” তিনি বলেন, “আমি এখানে অনুমান করে কিছু বলতে চাই না, কারণ এটি কূটনৈতিক আলোচনার বিষয় এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেন।”
ট্যামি ব্রুস আরও বলেন, “আপনি যখন কূটনৈতিক বিবেচনা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে কথোপকথনের কথা বলেন, তখন আমি ফলাফল নিয়ে কোনো পূর্বাভাস দিতে চাই না। আপনি চাইবেন না যে আমি তা করি।”
অবশেষে, প্রশ্নকারী সাংবাদিক আবারও তার প্রশ্নটি পুনরায় করতে চান কিনা জানতে চাইলে ট্যামি ব্রুস দুঃখিতভাবে বলেন, “আমি যা বলতে পারি না তা হলো— সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে কূটনৈতিক আলোচনা এবং কোনও নির্দিষ্ট দেশে কী ঘটছে সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা। এসব কূটনৈতিক ধরণের কথোপকথনে পড়তে পারে, এবং আমি স্পষ্টভাবে এটি বলতে পারি না।”
এভাবে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন, এবং বিষয়টি কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার কথাই বলেছেন।