জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় নিখোঁজের ছয় দিন পর এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ছাত্রটির নাম মো. শাওন (১৪), সে চর গোবিন্দী গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে এবং চর গোবিন্দী উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। শাওন গত সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ হয় এবং তার লাশ আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের চর গোবিন্দী গ্রাম থেকে একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত সোমবার সকালে শাওন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। পরিবার প্রথমে চিন্তা করেনি, তবে রাতের দিকে তারা থানায় গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের তৎপরতার ফলে দ্রুতই নিখোঁজ ছাত্রের সন্ধানে অভিযান শুরু হয়।
তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশের হাতে আসে শাওনের মুঠোফোন। মুঠোফোনটির সূত্র ধরেই পুলিশ বিদ্যুৎ (১৮), একজন তরুণকে আটক করে। পরে, তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের আরও দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়, তারা হলেন ইসমাইল (২১) এবং সুমন ইসলাম (২০), যারা মাদারগঞ্জ উপজেলার ধলিরবন্দ গ্রামের বাসিন্দা।
আটকের পর, তদন্তকারীরা আটককৃতদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে, আজ সকালে চর গোবিন্দী গ্রামের একটি ডোবার কচুরিপানার নিচে শাওনের লাশ উদ্ধার করেন। শাওনের মৃতদেহ জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান বলেন, “মুঠোফোনের সূত্র ধরেই প্রথমে বিদ্যুৎ এবং পরে আরও দুজনকে আটক করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকালে শাওনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে, এখনো হত্যার কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
পুলিশ ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তাদের মধ্যে কোন একজনের শাওনের হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়া গেলে তা থেকে খোলাসা হতে পারে হত্যার কারণ।
এ ঘটনা মেলান্দহসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। ঘটনাটি এলাকাবাসীর জন্য বড় এক শোক ও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।