1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
যশোর সরকারি মুরগী প্রজনন খামারে বাচ্চা কিনতে গিয়ে খামারী লাঞ্চিত - RT BD NEWS
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন

যশোর সরকারি মুরগী প্রজনন খামারে বাচ্চা কিনতে গিয়ে খামারী লাঞ্চিত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫
যশোর সরকারী মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামার অফিসের হিসাব রক্ষক জিয়াউর রহমানের নামে থানাতে অভিযোগ

অফিসের হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

মুরগীর বাচ্চা কিনতে গিয়ে লাঞ্চিত হওয়ায় বিচার চেয়ে যশোর সরকারী মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামার অফিসের হিসাব রক্ষক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী এক খামারী। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ কলেজপাড়ার বাসিন্দা গনমাধ্যমকর্মী ও মুরগী খামারী আরিফ হোসেন বুধবার দুপুরে যশোর মডেল থানাতে ওই মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় জিয়াউর রহমান সহ তার গুন্ডাবাহিনীর আরো অজ্ঞাত ২/৩ জন আসামী করা হয়েছে।

গনমাধ্যমকর্মী ও মুরগীর খামারী আরিফ হোসেন তার দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, বুধবার বেলা ১২ টার দিকে তিনি ৫’শ পিচ মুরগীর বাচ্চা কিনতে যশোর শংকরপুর সরকারী মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে যান। খামারের হিসাব রক্ষক জিয়াউর রহমান ওই খামারীকে বলেন এখন বাচ্চার অর্ডার দিলে ৪ মাস পরে সিরিয়াল পাবেন। তার এমন কথা শুনে বিষয়টি জানতে আরিফ হোসেন খামারের উপ-পরিচালক বখতিয়ার হোসেনের সাথে দেখা করতে চান। কিন্তু উপ-পরিচালককে তার দপ্তরে না পেয়ে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি অসুস্থ্যতার কারনে বাসায় আছেন এবং বিষয়টি পরে দেখবেন বলে জানায়। এর কিছু সময় পর উপ-পরিচালক নিজেই খামারী আরিফ হোসেনকে ফোন দিয়ে ভিডিও করছেন বলে নানা কথা শোনায়।

কোন উপায় না পেয়ে খামারী আরিফ হোসেন বাচ্চার সিরিয়াল দেখতে চাইলে অফিসের হিসাব রক্ষক জিয়াউর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তিনি আরিফকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে হিসাব রক্ষক জিয়াউর রহমান তার ভাড়াটিয়া ২/৩ জন গুন্ডাকে ডেকে এনে খামারীকে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখান। সর্বশেষ জিয়াউর রহমান ওই খামারীকে ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন।

উল্লেখ্য, যশোর সরকারী মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামার অফিসে হিসাব রক্ষক জিয়াউরের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। বাইরে থেকে কোন খামারী বাচ্চা কিনতে আসলে ওই সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়ে। একটি সুত্রে জানা গেছে, সরকারীভাবে উৎপাদিত মরগীর বাচ্চা খামারীদের কাছে ১৫ টাকা দরে বিক্রি করার কথা। কিন্তু ওই সিন্ডিকেট খামারীদের তাড়িয়ে নিজেরা বাচ্চা নিয়ে বাইরে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করে। সরকার যুবদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টিতে সরকারী মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামার প্রতিষ্টানটি যেন বেকার যুবদের গলার কাটা হয়ে উঠেছে।

সর্বশেষ ভূক্তভোগী লাঞ্চিত যুবক আরিফ হোসেন ওই খামারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও সিন্ডিকেট সদস্যদের বিচার চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাদী সুবিচার প্রার্থনা করেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট