রমজান মাসে জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় নামাজ আদায়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দখলদার ইসরায়েল। তবুও শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিপুল সংখ্যক মুসল্লি সেখানে জুমার নামাজ আদায় করেছেন।
মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াকফ জানিয়েছে, এদিন প্রায় ৮০ হাজার মুসল্লি আল-আকসায় নামাজ আদায় করেন। তবে ইসরায়েলি পুলিশ সঠিক সংখ্যা প্রকাশ না করে বলেছে, সেখানে “হাজার হাজার মানুষ” উপস্থিত ছিলেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, নামাজ আদায়কারীদের বেশিরভাগই ইসরায়েলে বসবাসকারী ফিলিস্তিনি ছিলেন। পশ্চিমতীর থেকে মুসল্লিদের আসা ঠেকাতে দখলদার বাহিনী কঠোর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ফলে পশ্চিমতীর থেকে মুসল্লিদের উপস্থিতি কম ছিল।
ইসরায়েলি পুলিশ আরও শর্ত জারি করে, শুধুমাত্র ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। মুসল্লিদের আল-আকসায় প্রবেশের জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ পাস সংগ্রহ করতে হয়। তরুণদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বিভিন্ন স্থানে কড়া চেকপোস্ট বসানো হয়।
ইসরায়েলের কড়াকড়ির মধ্যেও জুমার নামাজ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সপ্তাহেও একইভাবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছিলেন।
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী মূলত মুসলমানদের আল-আকসায় প্রবেশে বাধা দিতে এসব বিধিনিষেধ আরোপ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। তবে মুসল্লিদের বিশাল উপস্থিতি প্রমাণ করে, সব বাধা সত্ত্বেও তারা ইসলামিক ঐতিহ্য ও নিজেদের অধিকার রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।