বাংলাদেশের টেলিভিশন ও সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান, যিনি তার অভিনয় ও সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত, বর্তমানে ৪১ বছর বয়সেও রূপের দ্যুতি ছড়িয়ে চলেছেন। বয়স বাড়লেও তার আবেদন কমেনি, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও উজ্জ্বল হয়েছে। অভিনেত্রী এখনো প্রতিনিয়ত তার ভক্তদের মুগ্ধ করছেন, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার একের পর এক খোলামেলা ছবি এবং ভিডিওর মাধ্যমে।
রুনা খান বর্তমানে ৪১ বছরে পদার্পণ করেছেন, তবে তার বয়স যেন কেবল একটা সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি মনে করেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রূপের প্রতি মানুষের মনোভাব পরিবর্তিত হওয়া উচিত নয়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওতে তাকে বয়সের রূপ-লাবণ্য নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। তিনি মজার ছলে বলেন, “৪০-৪২ বছর বয়সী অপূর্ব, শুভ কিংবা নিশোকে যখন আকর্ষণীয় বলা হয়, তখন ৪০-৪২ বছর বয়সী আমি কিংবা বাঁধনকেও একইভাবে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় বলা যেতে পারে।”
ভিডিওতে রুনা আরও বলেন, “আমরা নারীদের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করি, যেন আমাদের অভ্যস্ততায় এটা একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।” যদিও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের কাছে তার সৌন্দর্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, কিন্তু রুনা নিজের আত্মবিশ্বাসে কোনো হোঁচট খায়নি। তিনি তার প্রতিটি দিনকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন এবং নিজের জীবনযাপন ও ক্যারিয়ারে ফোকাস করেন।
রুনা খান জানান, তিনি ভবিষ্যতে মডেলিং এবং অভিনয়ে যুক্ত থাকতে চান, বিশেষ করে তার মা’র অনুপ্রেরণায়। তার মতে, তার মা এবং অন্যান্য বয়স্ক অভিনেত্রীরা যেমন আশি বছর বয়সেও অভিনয় এবং মডেলিং করছেন, তেমনই তিনি আশা করেন তারও বয়স বাড়ার পরও এ ধরণের ক্যারিয়ার অব্যাহত থাকবে। “আমি যদি বেঁচে থাকি এবং সুস্থ থাকি, তাহলে শর্মীলা আহমেদ, দিলারা জামান আপার মতো বয়সের পরেও কাজ করতে চাই,” বললেন রুনা।
বছর কয়েক আগে রুনা খান তার ওজন কমিয়ে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং রাতারাতি আলোচনায় চলে আসেন। এর পর তার সাহসী অবতারে নিজেকে প্রকাশ করার কারণে তিনি অনেক বিতর্কের মুখে পড়লেও, তিনি এসবকে উপেক্ষা করে তার কাজ চালিয়ে গেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন ধারাবাহিক এবং সিনেমায় কাজ করে সফলতা অর্জন করেছেন। এর মধ্যে কাজল আরেফিন অমির ওয়েব কনটেন্ট ‘অসময়’-এ অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন। রুনা মনে করেন, ‘অসময়’ তার জন্য সুসময় নিয়ে এসেছে এবং এখন তিনি ওয়েব কনটেন্টের পাশাপাশি সিনেমায়ও কাজ করছেন।
বয়স ৪১ ছাড়িয়ে গেলেও রুনা খান তার ক্যারিয়ারে অবিচল রয়েছেন। তিনি একজন শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী নারী হিসেবে তার ক্যারিয়ারে আরো উন্নতি করতে চান এবং আশা করেন তার কাজ ও সাফল্যের মাধ্যমে নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আসবে। তার সৌন্দর্য, মেধা, এবং অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য সমাজে প্রভাব ফেলছে এবং তিনি নতুন প্রজন্মের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন।