বাংলাদেশে এখনও অস্থির পরিস্থিতি জারি রয়েছে। মহম্মদ ইউনুস নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ওপার বাংলায় এখনও সুস্থ ও স্বাভাবিক প্রশাসন তৈরি হয়ে উঠতেই পারেনি। এই আবহে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে? মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল বন্দরে এসে সেই বিষয়টিই স্পষ্ট করেছেন ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান জয়ন্ত সিং।
এদিন পেট্রাপোলে আমদানি-রফতানি পথ ঘুরে দেখেছেন ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান জয়ন্ত সিং। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আগের মতোই রয়েছে। আগেও যতগুলি ট্রাক আমদানি-রফতানিতে আসতো-যেতো, এখনও ঠিক তত তাই করছে। দু’দেশের মধ্যে যত বেশি বাণিজ্য হবে ততো দুই দেশও সমৃদ্ধ হবে। বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জিরো হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাণিজ্য বাড়বে।”
এরই পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। পরিস্থিতি যত স্বাভাবিক হবে বাণিজ্য ততই বাড়বে। বাংলাদেশে যা হচ্ছে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ব্যাবসার প্রয়োজনীয়তা দু’দিকেই রয়েছে। বাংলাদেশের তো বেশিই রয়েছে। শান্তি বজায় থাকুক। দ্রুত বাংলাদেশে শান্তি স্থাপিত হোক। এক্ষেত্রে আমাদেরও যা করণীয় আমরা তা করব।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের অবসানের পর সে দেশের দায়িত্ব নিয়েছে মহম্মদ ইউনুস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ইউনুসের আমলে ওপার বাংলায় চূড়ান্ত নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। বিশেষ করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার নেমে এসেছে। এক কথায় মাসের পর মাস ধরে বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি চলছে।
শেখ হাসিনা সরকারের অবসানের ঠিক পর পরই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে দারুণ উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। এপারে পেট্রাপোলের পাশাপাশি ওপারে বেনাপোলের দিকেও বাণিজ্য নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেও সীমান্ত বাণিজ্যে তেমন কোনও বড়সড় প্রভাব পড়েনি বলেই জানিয়েছেন ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান।