1. hmonir19799@gmail.com : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. rtbdnews@gmail.com : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. info@www.rtbdnews.com : RT BD NEWS :
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ডাকসু নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টা সোনার দাম বেড়ে ২২ ক্যারেট এক ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ টাকা সকল নাগরিকের সমান অধিকারের দাবি মাসুদ সাঈদীর খুলনায় আ. ন. ম. মুরাদের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধা পিরোজপুরে ব্যবসায়ী হত্যায় ৬ জনের যাবজ্জীবন, ১ জনের দুই বছরের কারাদণ্ড আকু বিল পরিশোধে কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাংলাদেশে পিরোজপুরে কৃষিক্ষেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বৃদ্ধ কৃষকের মৃত্যু পিরোজপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে টিয়েন্স প্রতিষ্ঠানের ৫ জনের কারাদণ্ড কাউখালীতে জমজমাট ভাসমান হাটে আমন ধানের চারা বিক্রি পিরোজপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক বেঞ্চ ভাঙ্গারিতে বিক্রি

শুক্রবারের ‘নামাজ বিরতি’ বিধানসভায় বন্ধ! সিদ্ধান্তে তুমুল হট্টোগোল, মুসলিম বিধায়কদের মধ্যে চরম অসন্তোষ

আরটি বিডিনিউজ অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
বিধানসভা

৯০ বছর পর ভারতের বিধানসভায় বন্ধ শুক্রবারের ‘নামাজ বিরতি’ ! সরকারের সিদ্ধান্তের জেরে তুমুল হট্টোগোল। মুসলিম বিধায়কদের মধ্যে চরম অসন্তোষ।

কেন হঠাৎই ছন্দপতন!

৯০ বছর ধরে চলে আসা রীতিতে এবার ছেদ পড়ল। আজ থেকে বন্ধ হয়ে গেল শুক্রবারের বিধানসভার দুই ঘন্টার ‘নামাজ’ বিরতি। সরকারের এই সিদ্ধান্ত  চলতি বছরের বাজেট অধিবেশন থেকে কার্যকর করা হয়েছে। বিরোধী দলগুলি সরকারের এই ধরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে এই সিদ্ধান্তকে সংখ্যাগরিষ্ঠের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে স্পিকার সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এটিকে ঔপনিবেশিক ঐতিহ্যের অবসানের লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।

অসম বিধানসভায় শুক্রবার নামাজ পড়ার জন্য মুসলিম বিধায়কদের জন্য বরাদ্দ দু ঘণ্টার ‘বিশেষ ছুটি’ বাতিল করা হয়েছে। অসম বিধানসভায় গত ৯০ বছর ধরে চলে আসছিল এই ঐতিহ্য। কিন্তু এবারের বাজেট অধিবেশন থেকেই এই ঐতিহ্যের অবসান ঘটল।

সরকারের পদক্ষেপে তীব্র অসন্তোষ লক্ষ্য করা গিয়েছে মুসলিম বিধায়কদের মধ্যে।  অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) এর বিধায়ক রফিকুল ইসলাম সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন।

কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া পরামর্শ দিয়েছেন যে মুসলিম বিধায়কদের কাছাকাছি কোনও স্থানে নামাজ পড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, “আজ আমার দলের অনেক সহকর্মী এবং AIUDF বিধায়ক নামাজ পড়তে যাওয়ার কারণে বিধানসভার গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা মিস করেছেন। যেহেতু এটি কেবল শুক্রবারে একটি বিশেষ ধর্মীয় প্রার্থনা, তাই কাছাকাছি কিছু ব্যবস্থা করা যেতে পারত।”

অসম  বিধানসভায় প্রায় নয় দশক ধরে চলে আসা এই ঐতিহ্যের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে বিধানসভার স্পিকারের নেতৃত্বে গঠিত রুলস কমিটি গ্রহণ করে। সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার কথা উল্লেখ করে স্পিকার পরামর্শ দেন যে অসম বিধানসভার কার্যক্রম অন্য দিনের মতো শুক্রবারও চালিয়ে যাওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এটিকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।

কিন্তু ৯০ বছর পর কেন ভারতের বিধানসভা এমন সিদ্ধান্ত নিলো তা ভারতীয় ও আর্ন্তজাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাবিয়ে তুলেছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট