পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে থেকে দেশে ফেরত আনার বিষয়টি ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলেও বাংলাদেশের আরও অনেক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যু রয়েছে, যা একই সঙ্গে সমাধান ও পরিচালিত হবে।
আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের স্বাভাবিকতায় প্রভাব ফেলবে না। দুটোই পাশাপাশি চলবে।”
তৌহিদ হোসেন জানান, বর্তমান সরকারের জন্য নতুন বছরে অগ্রাধিকার হলো, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান, ভারত, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখা, তিনি আরও বলেন, “এই তিন দেশের সঙ্গেই আমাদের স্বার্থ জড়িত। তাই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক অগ্রাধিকারে থাকবে।”
রোহিঙ্গা ইস্যুতে উপদেষ্টা বলেন, “রাখাইনের পরিস্থিতি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। সেখানকার বাস্তবতা পরিবর্তন হয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের অধিকার ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়ে তাঁদের ফেরত পাঠানো আমাদের লক্ষ্য। এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় আমরা এই সংকট সমাধানের পথে কাজ করছি।”
জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত কমিটিকে দেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও কয়েকটি সংস্থা এখনো তা জমা দেয়নি। এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “জানুয়ারির মধ্যে সব প্রতিবেদন আমরা আশা করছি পেয়ে যাব।”
২০ জানুয়ারি চীন সফরের বিষয়ে তিনি জানান, “চীনের সঙ্গে আমাদের বহু ইস্যু রয়েছে, যেগুলো আলোচনার টেবিলে তুলব। তবে সেসব বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না।”
দেশের জন্য বহুমুখী কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর সমাধান এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষা নতুন বছরে সরকারের মূল লক্ষ্য। শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনা, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান এবং চীন-ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়গুলো এই লক্ষ্য পূরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।