বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ৫০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মুম্বাই পুলিশ এখনো হামলাকারীকে ধরতে পারেনি। তবে মামলার তদন্তে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে।
গত বুধবার মধ্যরাতে সাইফ-কারিনার বাসায় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ঢুকে পড়ে এবং সাইফ আলী খানের ওপর ছুরি দিয়ে ছয়বার আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে সাইফকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাড়ে তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ।
লীলাবতী হাসপাতালের নিউরোসার্জন নিতিন ডাঙ্গে জানিয়েছেন, সাইফের ঘাড়, হাত ও শিরদাঁড়ার কাছে গুরুতর ক্ষত ছিল। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চাকুর টুকরা বের করা হয়েছে। বর্তমানে সাইফকে আইসিইউ থেকে বিশেষ ঘরে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে চিকিৎসকের অনুমতি না পাওয়ায় এখনো সাইফের জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পুলিশ কারিনা কাপুর খানের বয়ান নিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, হামলার সময় সাইফ বাচ্চা ও নারীদের রক্ষা করার চেষ্টা করছিলেন। আততায়ী বাচ্চাদের ঘরে প্রবেশ করলেও ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের কাছে যেতে পারেনি। হামলাকারী ছিল অত্যন্ত হিংস্র এবং একাধিকবার সাইফকে ছুরিকাঘাত করেছে।
মুম্বাই পুলিশের হাতে হামলাকারীর তিনটি ছবি এসেছে। প্রথমে তাকে বান্দ্রা স্টেশনের কাছে দেখা গেছে। পরে নতুন সিসিটিভি ফুটেজে তাকে অন্য পোশাকে দেখা গেছে। পুলিশ ধারণা করছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বারবার পোশাক বদলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তি কোনো ক্রাইম ওয়েব সিরিজ বা সিনেমা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই হামলা করেছে। তার আচরণ পেশাদার অপরাধীর মতো নয় বলে পুলিশের ধারণা। অভিযুক্তের কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড পাওয়া যায়নি। মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের ৩৫টি দল অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। মুম্বাইয়ের সব রেলস্টেশন ও এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের বাইরের রাজ্যগুলোতেও অভিযুক্তকে খোঁজার জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সাইফ-কারিনার বাসার এক পরিচারিকাকে আটক করেছে পুলিশ।
সাইফের জবানবন্দি এই মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, সাইফ এখনো জবানবন্দি দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। তার জবানবন্দি পাওয়া গেলে হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এবং অপরাধীর পরিচয় আরও পরিষ্কার হবে।
সাইফ আলী খানের ওপর এই হামলার পেছনের রহস্য এখনো পুরোপুরি উদ্ঘাটিত হয়নি। মুম্বাই পুলিশ ক্রমাগত তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এই হামলার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।