1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
সিরিয়ায় আসাদকে সহায়তায়র জন্য ইরাকি যোদ্ধাদের প্রবেশ। - RT BD NEWS
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৩:০২ অপরাহ্ন

সিরিয়ায় আসাদকে সহায়তায়র জন্য ইরাকি যোদ্ধাদের প্রবেশ।

আরটি বিডিনিউজ অনলাইন ডেস্কঃ এম হাসান
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে ইরান-সমর্থিত ইরাকি যোদ্ধারা। তারা উত্তর সিরিয়ার ফ্রন্টলাইনে লড়াইরত দুর্বল সিরীয় সেনাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। সিরিয়ান সেনাবাহিনী এবং মিত্র বাহিনী আজ মঙ্গলবার দেইর আল জোর প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় গ্রামে সিরিয়ান বাহিনী বিদ্রোহীদের হামলার কবলে পড়েছে।

সিরিয়ার বার্তা সংস্থা সানা এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, লড়াইয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সহায়তা করতে ইরাকি যোদ্ধারা সিরিয়ায় ঢুকেছেন। সিরিয়া ও ইরাকের কর্মকর্তাদের বরাতের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন রয়টার্স।

ইরাকের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েন, প্রাথমিকভাবে বদর এবং নুজাবা গোষ্ঠীর অন্তত ৩০০ যোদ্ধা গত রবিবার রাতে সীমান্ত ক্রসিং এড়িয়ে ট্রাকে করে সিরিয়ায়র ভিতরে প্রবেশ করেছে। সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন যে, উত্তর দিকের সম্মুখসারিতে সিরিয়ার যোদ্ধাদের সহায়তা করার জন্য নতুন করে ইরাকি যোদ্ধাদের পাঠানো হয়েছে।

বিমান হামলা এই যোদ্ধারা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সিরিয়ায় পৌঁছেছেন। তবে আলেপ্পো নিয়ে এখনও নিশ্চুপ লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

হঠাৎ করে সিরিয়ার মধ্যে গৃহযুদ্ধের কারণটা কী?

এক সময় আল কায়দার অংশ ছিল এইচটিএস নামক জঙ্গি সংগঠনটি। তারাই নতুন করে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে। হায়াত তাহিরির আল-শাম ও সংক্ষেপে এইচটিএস। তুরস্কের মদতে এই সংগঠনই গত এক সপ্তাহ ধরে সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আরো বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ইসলামি সংগঠন। তবে নেতৃত্ব দিচ্ছে এইচটিএস।

গত শুক্রবার তারা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো শহর দখল করে নিয়েছেন। আশপাশের কয়েকটি গ্রামও এখন তাদের দখলে রয়েছে। তাদের পরবর্তী লক্ষ্য হামা শহরটি দখলে করা। সিরিয়ারযুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন নানার হাওয়াচ। কীভাবে গৃহযুদ্ধ শেষ করা যায়, তা নিয়েও কাজ করছেন তিনি। ডয়চে ভেলেকে তিনি জানিয়েছেন যে, রবিবার হামা শহরে সিরিয়ার আসাদ সরকার বিরাট সেনা বাহিনী পাঠিয়েছে।

এইচটিএস-কে তারা চাপ দিয়ে উত্তর দিকে কিছুটা সরিয়ে দিতে পেরেছে। কিন্তু নানারের আশঙ্কা, এইচটিএস এখানে থামবে না। আগামী কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে আবার গোটা সিরিয়াজুড়ে প্রবল গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করছেন এই গবেষক। তিনি জানান যে, এইচটিএস-এর পিছনে যেহেতু তুরস্কের হাত রয়েছ, তারা যথেষ্ট শক্তি নিয়েই আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আগেও হামা গৃহযুদ্ধের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। ২০১১ সালে গণতন্ত্রপন্থি গোষ্ঠীগুলি সিরিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। প্রাথমিকভাবে তারা খানিকটা অগ্রসরও হতে পেরেছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালে হামায় আসাদ সরকার বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করেছেন। শুরু হয় প্রবল গৃহযুদ্ধ। আসাদ সরকার বিদ্রোহীদের দমন করতে সমর্থ হয়। সে সময় আসাদ সরকারকে সব ধরনের সাহায্য করেছিল ইরান এবং রাশিয়া। তারা এখনো আসাদ সরকারের বন্ধু।
লড়াইয়ের নতুন মুখ হয়ে এসেছে, একসময় আল কায়দার অংশ ছিল এই এইচটিএস।

পরবর্তীতে তারা আলাদা হয়ে যায়। ২০১৮ সালে অ্যামেরিকা এই সংগঠনকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেন। সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চল বিশেষ করে ইডলিব এলাকা এখন এইচটিএস-এর দখলে আছে। এখন প্রায় ৪০ লাখ উদ্বাস্তু সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইডলিবে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

এইচটিএস তাদেরও ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। তবে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে কেবল এইচটিএস লড়ছে না। তুরস্কের ছত্রছায়ায় থাকা সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা এসএনএ-এর একটি অংশও লড়াইয়ে নেমে পড়েছে। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কুর্দ অধ্যুষিত অঞ্চলে তারা আক্রমণ চালাচ্ছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট