দক্ষিণ কোরিয়ায় আগামী ৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রত্যাশিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সামরিক আইন জারির এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার জেরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অপসারণের প্রায় চার মাস পর মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হ্যান ডাক-সু আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। — খবর রয়টার্সের।
গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক শাসন জারি করে বেসামরিক শাসন কাঠামো ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করলে, দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত তাকে অভিশংসনের মাধ্যমে পদচ্যুত করে। এর পর থেকে দেশটি কার্যত নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে।
গত সপ্তাহে আদালত ইউন-এর অভিশংসন বহাল রেখে নতুন নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেয়। সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট অপসারণের পর ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজিত হওয়ার কথা থাকলেও, ইতোমধ্যেই চার মাস অতিক্রম করেছে। আদালতের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ও সরকার একমত হয়ে ৩ জুনকে নির্বাচন দিবস ঘোষণা করে।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হ্যান ডাক-সু জানান, ৩ জুন দিনটিকে একটি অস্থায়ী সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হবে, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
হ্যান ডাক-সু মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছেন এমন একটি নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য, যা হবে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও জনআস্থাবান।
বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন হ্যান ডাক-সু। সাংবিধানিক আদালত তার অভিশংসন বাতিল করে পুনর্বহাল করেছে তাকে। নির্বাচনের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া পেতে যাচ্ছে তাদের ২১তম রাষ্ট্রপ্রধান।