জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের কড়ইতলা নামাপাড়া এলাকায় ছাত্রী ভর্তি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই মাদ্রাসার সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। বিকালে সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাবিয়া বসরি মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন মফিজুর রহমান এবং একই এলাকার আরেকটি প্রতিষ্ঠান জামিয়া সুলতানিয়া রওজাতুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন ওবায়দুল ইসলাম। ছাত্রীদের পাঠদানে প্রতিযোগিতা ও একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগই এই সংঘর্ষের মূল কারণ।
গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন— মাদ্রাসা শিক্ষক মফিজুর রহমান (৪২), তাঁর সমর্থক জনি (৩৮), আব্দুল মোতালেব (৩৭), মোত্তাকিন (৪৫), রুবেল (৩২), মিজান (৩৫) এবং অপর মাদ্রাসার শিক্ষক ওবায়দুল ইসলাম (৪৫)। আহতরা ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পার্শ্ববর্তী শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “২০১২ সাল থেকে আমি মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছি। ওবায়দুল ইসলাম অপকৌশলে ছাত্রী ভিড়ানোর চেষ্টা করছেন এবং আমার বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়াচ্ছেন। থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছি।”
অন্যদিকে, ওবায়দুল ইসলাম দাবি করেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। বরং আমাকে এবং আমার লোকজনকে মারধর করা হয়েছে।”
ভূমিকাইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আহতদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশেষত ধর্মীয় শিক্ষার কেন্দ্র নিয়ে এমন সহিংসতা উদ্বেগজনক। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং স্থানীয় নেতৃত্বের সক্রিয়তায় এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।