1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নেছারাবাদের শতবর্ষী পেয়ারা বাগানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য: লাউডস্পিকার জব্দ দিনাজপুরের কাহারোলে নিষিদ্ধ ঘোষিত দুই ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার জামালপুরে যুবসমাজের প্রতিবাদ—শুভ পাঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি খুলনার দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা, প্রাক্তন স্বামীর ওপর সন্দেহের তীর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টেক্সওয়ার্ল্ড অ্যাপারেল মেলা ২০২৫-এ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্ভাবনের প্রদর্শনী দেখাল ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি শনিবার সকালে পঞ্চগড় সীমান্তে ভারত থেকে ৯ বাংলাদেশিকে পুশইন পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার আগামী কয়েকদিন বজ্রসহ টানা বৃষ্টি, কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের শঙ্কা

ইনফিনিটি গ্যালাক্সি: জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ধরা পড়ল নতুন ধরনের ব্ল্যাক হোল

আরটি বিডিনিউজ অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫
ইনফিনিটি গ্যালাক্সি: ব্ল্যাক হোল সৃষ্টির নতুন রহস্য উন্মোচন করল জেমস ওয়েব

নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (JWST) সম্প্রতি এমন এক অজানা ও অস্বাভাবিক গ্যালাক্সি শনাক্ত করেছে, যা ব্ল্যাক হোলের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রচলিত তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। গ্যালাক্সিটির আকৃতি ইংরেজি ‘∞’ বা ইনফিনিটি চিহ্নের মতো হওয়ায় এটিকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন “ইনফিনিটি গ্যালাক্সি”। গ্যালাক্সিটির কেন্দ্রস্থলে যে ব্ল্যাক হোল দেখা গেছে, তা এখনো গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা বিজ্ঞানীদের কাছে “Direct Collapse Black Hole” তত্ত্বের সম্ভাবনাকে জোরালো করছে।

এই ইনফিনিটি গ্যালাক্সির দুটি লাল নিউক্লিয়াস ও প্রতিটির চারপাশে একটি করে রিং রয়েছে। দুই রিং একত্রে ইনফিনিটি আকৃতি তৈরি করেছে। দুই নিউক্লিয়াসের মাঝখানে বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন একটি সক্রিয় সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল, যা কোনো নিউক্লিয়াসে নয় বরং একটি গ্যাসময় অঞ্চলে অবস্থান করছে—এটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা। বিস্ময়করভাবে, উভয় নিউক্লিয়াসেও পৃথক ব্ল্যাক হোল রয়েছে। অর্থাৎ, একটি গ্যালাক্সি সিস্টেমে তিনটি ব্ল্যাক হোল সক্রিয়ভাবে অবস্থান করছে!

এখন পর্যন্ত ব্ল্যাক হোল গঠনের দুটি তত্ত্ব প্রচলিত—লাইট সিড এবং হেভি সিড। লাইট সিড অনুসারে, ছোট ব্ল্যাক হোল একত্রিত হয়ে বড় হয়। কিন্তু প্রাথমিক মহাবিশ্বে এত বিশাল ব্ল্যাক হোল পাওয়ার ব্যাখ্যায় এটি যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে, হেভি সিড মডেল বলছে, একটি বিশাল গ্যাসীয় মেঘ সরাসরি ধসে গিয়ে এক ধাক্কায় সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলে রূপ নিতে পারে। এই ইনফিনিটি গ্যালাক্সির পর্যবেক্ষণ সেই “হেভি সিড বা Direct Collapse” তত্ত্বকে সমর্থন করছে।

নাসার ডিরেক্টরস ডিসক্রিশনারি টাইম (DDT) প্রজেক্টের আওতায় জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ দিয়ে করা ফলো-আপ গবেষণায় দেখা গেছে, ব্ল্যাক হোলটি ঘিরে রয়েছে বিপুল পরিমাণ আয়নিত হাইড্রোজেন গ্যাস। এর গতি আশপাশের গ্যাসের গতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ (প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫০ কিমি), যা প্রমাণ করে এটি বাইরে থেকে এসে পড়েনি, বরং সেখানেই জন্ম নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. পিটার ভ্যান ডকুম বলেন, “এই গ্যালাক্সির প্রতিটি বৈশিষ্ট্য অস্বাভাবিক। ব্ল্যাক হোলের অবস্থান, গঠন ও সক্রিয়তা সবই আমাদের বিদ্যমান জ্ঞানের বাইরে। আমরা হয়তো প্রথমবারের মতো একটি ব্ল্যাক হোলের জন্ম প্রত্যক্ষ করছি।”

এই আবিষ্কার শুধু একটি রহস্য উন্মোচনই নয়, বরং মহাবিশ্বে ব্ল্যাক হোল সৃষ্টির নতুন রূপরেখা তুলে ধরেছে। ভবিষ্যতের গবেষণায় এই ইনফিনিটি গ্যালাক্সি হতে পারে ব্ল্যাক হোল জেনারেশনের অন্যতম ক্লু।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট