
দীর্ঘ ১৬ বছর পর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে দিঘলিয়া উপজেলা চৌরাস্তা মোড়ে সম্মেলন শুরু হয়।
২০০৯ সালের পর এটাই প্রথম সম্মেলন হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে। সম্মেলন উপলক্ষে দুপুর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল-শোভাযাত্রাসহ সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে শুরু করেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগের সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান মন্টু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড মোমরেজুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খাঁন জুলফিকার আলী জুলু, যুগ্ম আহবায়ক মোল্লা খায়রুল ইসলাম,যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক সজল, জেলা কমিটির সদস্য শরীফ ইকবাল হোসেনসহ উপজেলা বিএনপি, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় দুপুর আড়াইটায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে। পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত, দলীয় সংগীত পরিবেশনের পর শুরু হয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
দ্বিতীয় অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হয় কাউন্সিল অধিবেশন বিকাল সাড়ে ৫ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে সভাপতি। এমন সাইফুর রহমান মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মল্লিক । এতে ২৮৪ জনের মধ্যে ২৭৮ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলে ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী হাসিবুল হোসেন সাদ্দাম তার নিজ ভোট প্রয়োগ করতে পারেনি।
নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এম. সাইফুর রহমান মিন্টু আনারস প্রতীক নিয়ে ২৪৮ ভোট পেয়ে জয়যুক্ত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডাঃ হাফিজুর রহমান ছাতা প্রতীক নিয়ে ২২ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আব্দুল রকিব মল্লিক তালা প্রতীক নিয়ে ২৪০ ভোট পেয়ে জয়যুক্ত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুল মল্লিক টিউবয়েল প্রতীক ৮ ভোট পেয়েছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোল্লা নাজমুল হক (সিলিং ফ্যান ১৬০ ) , মোল্লা মনিরুজ্জামান (দেয়াল ঘড়ি ১১৯) ভোট পেয়ে জয়যুক্ত হয়েছেন।, তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিয়াউর রহমান( ঘোড়া ২০ ) , মো. আকিদুল শরীফ( আপেল ৯৬ ) , শরীফ ইমাদুল (টিয়া পাখি ৪৯) ও হাসিবুল হোসেন সাদ্দাম ( চশমা ৫৭) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য অ্যাডভোকেট চৌধুরী আব্দুস সবুরের নেতৃত্বে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করে।
এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে দিঘলিয়ার হাট-বাজার, চা দোকান থেকে গ্রামগঞ্জে সরব ছিল আলোচনার ঝড়। প্রার্থীরা গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়ান।
সম্মেলনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, শরীফ মোজ্জামেল হোসেন, গাজী জাকির হোসেন, মোল্লা বিল্লাল হোসেন , মোল্লা নাজমুল হক, মোল্লা মনিরুজ্জামান, শেখ মোসলেম উদ্দিন, খন্দকার ফারুক হোসেন, আবুল কালাম আজাদ , সেলিম রেজা ,জাসেদ কবির জুয়েল , আব্দুল্লাহ আল মামুন নিপু, অহিদুজ্জামান রানা , সাজ্জাদ হোসেন, আলামিন মোল্লা , জহিরুল ইসলাম সহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। তাদের আশা, নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপি আরও সুসংগঠিত হবে এবং আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।