
মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্মৃতি বুকে ধারণ করে ঝিনাইদহে পালিত হলো হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৬ নভেম্বর এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ঝিনাইদহকে মুক্ত ঘোষণা করেন মুক্তিযোদ্ধারা। স্বাধীনতার সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে শনিবার সকাল থেকেই শহরে শুরু হয় বর্ণাঢ্য আয়োজন।
দিনটি উপলক্ষে সকালে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে একটি রঙিন র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য ও স্থানীয় নাগরিকরা।
র্যালি শেষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সভায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ বি এম খালিদ হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ মাস্টার, যুগ্ম আহ্বায়ক কামালুজ্জামান, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাদশাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার মহান অর্জনকে ধরে রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরি। শহীদদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে নতুন প্রজন্মকে দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসতে হবে। তারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রাখা এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা হবে আজকের প্রতিজ্ঞা।
ঝিনাইদহবাসীর অংশগ্রহণে এবারের হানাদারমুক্ত দিবস হয়ে উঠেছে অতীতের স্মৃতি, শ্রদ্ধা ও দেশপ্রেমের এক দৃপ্ত উজ্জাপন।