সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৯ সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জন আসামিকে হাজির করা হয়। শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তুলে ধরেন। এ সময় তিনি জানান, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ভারত-বাংলাদেশ বন্দী বিনিময় চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে (গত ১৫ বছরে) মানবতাবিরোধী অপরাধের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে এমন কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই, যা তিনি সংগঠিত করেননি। এই ১৩ আসামি তার এসব কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন। ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ১৩ আসামি হলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৩ আসামিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারত-বাংলাদেশ বন্দী বিনিময় চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান প্রসিকিউটর।