বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তার দাবিতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন কংগ্রেসদলীয় সংসদ সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস নেত্রী ও কেরালার ওয়েনাড থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদেরা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কংগ্রেস সদস্যদের কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে ইংরেজিতে লেখা ছিল, ‘Stand with Minorities of Bangladesh’ (বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে আছি)। হিন্দিতেও লেখা ছিল, ‘বাংলাদেশের হিন্দু ও খ্রিষ্টানদের পাশে দাঁড়িয়ে আছি’।
এর আগে গতকাল সোমবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করেছিলেন ফিলিস্তিন সমর্থনে বার্তা দেওয়া একটি ঝোলাব্যাগ নিয়ে। তবে আজকের বিক্ষোভে কংগ্রেস নেত্রীসহ দলের অন্যান্য সদস্যরা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হন।
বিক্ষোভ সমাবেশে কংগ্রেস সংসদ সদস্যরা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সুবিচার দাবি করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জবাবদিহি করতে বলা হয়। কংগ্রেস সদস্যদের প্রশ্ন, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকার কেন নীরব?”
এই বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে কংগ্রেস বার্তা দিতে চেয়েছে, তারা আন্তর্জাতিকভাবে নিপীড়িত ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পাশে রয়েছে। কংগ্রেস নেতারা স্পষ্ট করেছেন যে, তারা যেমন ফিলিস্তিনের অত্যাচারিত জনতার পক্ষে, তেমনই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পক্ষেও অবস্থান নিচ্ছেন।
বিজেপি সরকারকে চাপে রাখতে কংগ্রেস এই ইস্যুতে সরব হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। দেশের অভ্যন্তরে সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিজেপি প্রায়ই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে। তার পাল্টা জবাব হিসেবে কংগ্রেস এবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নীরবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বিক্ষোভে কংগ্রেস সদস্যরা নানা স্লোগানের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের প্রতি সংহতি জানান। পাশাপাশি সরকারের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানানো হয়।
এই বিক্ষোভের মাধ্যমে কংগ্রেস কেবল ভারতের অভ্যন্তরে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় নিজেদের অবস্থান দৃঢ়ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।