চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১০ আসামিকে আজ বুধবার আদালতে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনজীবীর ভাই জানে আলমের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিল পুলিশ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন চন্দন দাস, রুমিত দাস, বিশাল দাস, রাজীব ভট্টাচার্য, আমান দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, দুর্লভ দাস, সুমিত দাস ও মনু দাস। এর মধ্যে চন্দন ও রাজীব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, চন্দন ও রাজীবের জবানবন্দি থেকে উঠে এসেছে হত্যার নৃশংস বিবরণ। তাঁরা উল্লেখ করেন, রিপন দাস আইনজীবী সাইফুল ইসলামের ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন, চন্দন দাস কিরিচ দিয়ে কোপান, পরে লাঠি, বাটাম, ইট ও কিরিচ দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন জানান, বুধবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামের ভাই জানে আলম ৩০ নভেম্বর ১১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ৫০০ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে ৭০ জন আইনজীবীও রয়েছেন।
এর আগে ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরের পর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সময়কার ভিডিও ফুটেজে চন্দন দাস ও রিপন দাসকে দেখা গেছে। চন্দনের পোশাক: ছাই রঙের হেলমেট, কমলা রঙের গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট। হাতে ছিল কিরিচ। রিপনের পোশাক: লাল হেলমেট, নীল গেঞ্জি ও জিনস প্যান্ট। হাতে ছিল বঁটি।
এ ঘটনায় করা ছয় মামলায় মোট ৪০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে হত্যায় সরাসরি জড়িত অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।