জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি এলিমিনেটর ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের কাছে হারার পর খুলনা বিভাগ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে। ২১ ডিসেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ছিল এক উত্তেজনাপূর্ণ ও জমজমাট। খুলনা ৭ রানের জয়ে চট্টগ্রামকে বিদায় করে দিয়েছে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠান চট্টগ্রাম অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বি। খুলনার শুরুটা ভালো হয়নি, তবে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান তার ফিফটির মাধ্যমে দলের সংগ্রহে কিছুটা আশা যোগ করেন। সোহান ৩৯ বলে ৫২ রান করেন, যা দলের হয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এছাড়া আজিজুল হাকিম তামিম ১৬ বলে ২০, নাহিদুল ইসলাম ১৯ বলে ১৮, এবং ইমরুল কায়েস ১৫ বলে ১৭ রান করেন। খুলনা শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায়।
চট্টগ্রামের পক্ষে আহমেদ শরিফ ৪টি এবং ফাহাদ হোসেন ৩টি উইকেট শিকার করেন।
১৪৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম শুরুতেই বড় ধাক্কা খায়। দলীয় ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রামকে বেশ বিপাকে ফেলে। মাহমুদুল হাসান জয় ৮, আহমেদ সিদ্দিকুর ১১, মুমিনুল হক ৮, শাহদাত হোসেন দিপু ২৩, এবং ইরফান শুক্কুর ৭ রান করে আউট হন।
তবে এরপর নাইম হাসান ও ইয়াসির রাব্বি মিলে দলকে কিছুটা সামাল দেন। এই দুই ব্যাটার ৫২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে লড়াই বজায় রাখেন। কিন্তু, দলীয় ১১৭ রানে ২৭ বলে ৩৭ রান করা ইয়াসির আউট হয়ে যান।
নাইম হাসান চেষ্টা চালালেও একাই তিনি দলকে জেতাতে পারেননি। চট্টগ্রাম শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করতে সক্ষম হয়। নাইম ২৭ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
খুলনার বোলারদের মধ্যে মাসুম খান ও মেহেদী হাসান রানা ২টি করে উইকেট নেন। তাদের দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে খুলনা ৭ রানে ম্যাচটি জয় করতে সক্ষম হয়।
এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনার ১৪৬ রানের টার্গেট চট্টগ্রাম পূরণ করতে পারেনি। খুলনার পক্ষে মাসুম খান ও মেহেদী হাসান রানা তাদের বোলিং দিয়ে ম্যাচটি নিজেদের করে নিয়েছেন। এই জয়ের মাধ্যমে খুলনা বিভাগ পরবর্তী কোয়ালিফায়ারে স্থান করে নিয়েছে, যেখানে তাদের মোকাবেলা হবে আরও শক্তিশালী দলের সঙ্গে।
এদিকে, চট্টগ্রাম বিদায় নিলেও তাদের দলের খেলোয়াড়রা এ ম্যাচে সংগ্রাম করে মাঠে নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন।