শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীতের দাপট শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল চারপাশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমে এলেও শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। উত্তরবঙ্গের দুটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে, যা আগামী কয়েক দিন আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে, ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল এই অঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনে তাপমাত্রা প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। একই সঙ্গে সিরাজগঞ্জেও বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এই শীতল আবহাওয়ার ফলে উত্তরাঞ্চলের জীবনযাত্রা অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে।
শীতের প্রকোপ রাজধানীতেও অনুভূত হচ্ছে। আজ ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকালের তুলনায় কম।
আবহাওয়াবিদদের মতে, শনিবার (২৫ জানুয়ারি) তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে রোববার (২৬ জানুয়ারি) থেকে তাপমাত্রা আরও কমবে এবং এই প্রবণতা থাকবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। এরপর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, এ দফায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। জানুয়ারির শুরুতে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও এ সময়ে শীতের তীব্রতা তুলনামূলক কম।
অনেকেই ভাবছেন, এ দফার শীতই কি মৌসুমের শেষ শীত? আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার নজির রয়েছে। তাই এখনই শীতের বিদায় ঘণ্টা বাজবে এমনটা বলা যাচ্ছে না।
শীতের এই বাড়তি তীব্রতায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জনজীবনে প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের কারণে দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষদের দুর্ভোগ বেড়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, সামনের দিনগুলোতে শীত আরও বাড়তে পারে। তাই আগাম প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
শীতের এই হিমেল বাতাসে জনজীবন কষ্টময় হলেও এটি আমাদের প্রাকৃতিক চক্রের একটি অংশ। তাই উষ্ণ কাপড় ও সচেতনতার মাধ্যমে এই শীত মোকাবিলা করা সম্ভব।