1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
গ্রিনল্যান্ডের খনিজ সম্পদ ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণ - RT BD NEWS
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অপারেশন সিন্দুর নিয়ে রাহুলসহ বিরোধী নেতাদের মোদিকে চিঠি শামীম ওসমান ও পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং দুদকে তলব পিরোজপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপিত খুলনায় কুরআন দিবসে হাফেজে কুরআন সংবর্ধনা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে পিরোজপুরে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন ঝিনাইদহের দিঘিরপাড়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক পরিবার ঘরছাড়া আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি ঝিনাইদহে লিচু গাছে উঠে পড়ে দিনমজুরের মর্মান্তিক মৃত্যু পিরোজপুরে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত বজ্রপাতে মৃত দুই কৃষক পরিবারকে তারেক রহমানের মানবিক সহায়তা

গ্রিনল্যান্ডের খনিজ সম্পদ ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণ

আরটি বিডিনিউজ অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর একাধিকবার গ্রিনল্যান্ড দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি তিনি আবারও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেবে বলে তিনি মনে করেন। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এমন মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তবে ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত এ অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, গ্রিনল্যান্ড বিক্রি হবে না।

উত্তর আমেরিকার উত্তর-পূর্ব সুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। বিরল মৃত্তিকা ধাতুর অষ্টম বৃহত্তম মজুত রয়েছে। মুঠোফোন, ব্যাটারি, বৈদ্যুতিক মোটর তৈরিতে ব্যবহৃত বিরল ধাতু ছাড়াও লিথিয়াম, কোবাল্ট, তেল, গ্যাসের বিশাল মজুত আছে। দ্বীপটির সোনা, তামা, নিকেলসহ অন্যান্য মূল্যবান খনিজ সম্পদগুলো এখনো অনেকাংশে অব্যবহৃত।

আমারক মিনারেলস নামে একটি কোম্পানি গ্রিনল্যান্ডে খনিজ অনুসন্ধান করছে। ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় অনুসন্ধানের অনুমতি পেয়েছে তারা। সোনা, তামা, নিকেলসহ বিভিন্ন খনিজ অনুসন্ধানে জোর দেওয়া হচ্ছে। কোম্পানিটি নতুন প্রক্রিয়াকরণকেন্দ্র স্থাপন করেছে এবং সোনা উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।

পশ্চিমা দেশগুলো চীনের বিকল্প হিসেবে গ্রিনল্যান্ডের বিরল মৃত্তিকা ধাতুর দিকে নজর দিচ্ছে। জলবায়ু সংকট সমাধানে এ দ্বীপের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রিনল্যান্ডের সরকার মনে করে, খনিজ সম্পদের ব্যবস্থাপনা স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করবে।

গ্রিনল্যান্ডের অর্থনীতি এখনো সরকারি খাত ও মৎস্যসম্পদনির্ভর। বার্ষিক জিডিপি মাত্র ৩০০ কোটি ডলার। ডেনমার্ক সরকারের ৬০ কোটি ডলার ভর্তুকির ওপর নির্ভরশীল। রাজনীতিবিদদের আশা, খনিজ শিল্পের মাধ্যমে ডেনমার্কের ওপর নির্ভরতা কমানো সম্ভব হবে।

গ্রিনল্যান্ডের ৮০ শতাংশ বরফে ঢাকা। পরিবেশসংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধ এবং দুর্গম অবস্থান কার্যক্রম পরিচালনায় বড় চ্যালেঞ্জ। স্থানীয় মানুষ খনিজ শিল্প সমর্থন করলেও অর্থ দেশে থাকবে কি না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

গ্রিনল্যান্ডের খনিজ সম্পদ নিয়ে বৈশ্বিক আগ্রহ বাড়ছে। তবে পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই দ্বীপটি কতটা লাভবান হতে পারবে, তা সময়ই বলে দেবে। গ্রিনল্যান্ডের খনিজ সম্পদ ব্যবহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ এবং স্থানীয় সরকারের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের দিক নির্দেশ করবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট