বন্দরে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণকারী কথিত যুবদল নেতা কাজী সোহাগ ও তার বাহিনীকে গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, বেলা ১২টায় বন্দর ১নং খেয়াঘাট সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ডের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বন্দর থানা অটো রিক্সা ও সিএনজি শ্রমিক কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি পাপ্পু আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তারা প্রধান আসামি কাজী সোহাগ ও তার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। গ্রেপ্তার না হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির বলেন, ‘শ্রমিক ভাইয়েরা জনসেবা করে, অথচ তাদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানো হয়েছে। প্রশাসন যদি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কাজী সোহাগকে গ্রেপ্তার না করে, তাহলে থানা ঘেরাওসহ ডিসি অফিস ঘেরাও করা হবে।’ তিনি শ্রমিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
সভাপতি পাপ্পু আহমেদ বলেন, ‘অস্ত্রধারী সোহাগ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তার করছে না। এতে শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সেই দিন স্ট্যান্ড দখল নিতে এসে শ্রমিকদের ধাওয়া খেয়ে সোহাগ এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
মানববন্ধনে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর মৃধা, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কবির, কার্যকরী সদস্য নুর বাদশা, সাগর, ইকবাল, মিন্টুসহ অন্যান্য শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সিএনজি চালক আলমগীর, আনোয়ার, নুর হোসেন, নাদিম, নাজির, লিয়াকত, জামান, জনি, শিপন, ছগির, সুমনসহ শ্রমিকরাও মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহণকারীরা চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারী কাজী সোহাগের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বন্দর ফায়ার সার্ভিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়।