জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পূর্ব পাশে মরা ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে নির্মিত সেতুটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় এক যুগ আগে স্থানীয়দের উদ্যোগে মাত্র দুই লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা এ সেতুর পাটাতন ও খুঁটিগুলো এখন নড়বড়ে হয়ে গেছে। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ এ সেতু পারাপার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, নাওভাংগা এলাকায় একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি তারা বহু বছর ধরে জানিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রতিবারই প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর কাঠের পাটাতন পচে গেছে এবং খুঁটিগুলো নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন রোগী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ হাজারো মানুষ এ সেতু দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
জেনারেল হাসপাতালের ইমাম হাফেজ মাওলানা আল-আমিন বিন হাবিব বলেন, “আমাদের কর্মস্থল সেতুর অপর পাশে হলেও প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ভাঙা সেতু পার হতে হয়। বর্তমানে সেতুর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।”
কৃষক শামীম বলেন, “নাওভাংগা চরে আমরা অনেক ফসল আবাদ করি। কিন্তু একটি পাকা সেতুর অভাবে সঠিক সময়ে ফসল বাজারজাত করতে পারি না। রোগী ও তাদের স্বজনরাও চরম ভোগান্তির শিকার হন। তাই দ্রুত এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।”
হোটেল ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, “আমরা ব্যবসায়ী ও চরবাসী বহুদিন ধরে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। বিগত সরকারের আমলে অনুমোদন পেলেও তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা অন্যত্র ব্রিজ সরিয়ে নিয়েছেন।”
জামালপুর পৌর প্রশাসক মৌসুমি খানম বলেন, “সময় ও সুযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।”
স্থানীয়রা বলছেন, জরাজীর্ণ বাঁশ-কাঠের সেতু যে কোনো সময় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তারা দ্রুত একটি পাকা সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন। জনস্বার্থে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।