পৃথিবী ভয় পেয়েছিলো যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে শপথ গ্রহণ করেছিলেন! তেজী-ক্ষেপাটে-অপরিণামর্দশী হিসেবে নানান গুঞ্জন পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়লেও রাশিয়া-চীন-উত্তর কোরিয়া ও অন্যান্য দেশের সাথে ব্যাবসায়িক নীতিতে চলেছেন্! বিশ্বকে দিয়েছেন জাতী বিভাজন,জলবায়ু তহবিল থেকে ফান্ড তুলে নেয়া,ন্যাটোর কিছু সদস্যরাষ্ট্র পর্যাপ্ত চাঁদা না দেয়ায় প্রায়ই তাদের সমালোচনা,উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে নিয়মিতই বিবাদে জড়ানো,জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া ও কিউবা-ইরানের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে ট্রাম্পকে৷
জোবাইডেন ২০ জানুয়ারি ২০২১ – ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ইং পর্যন্ত আমেরিকার ক্ষমতায় থেকে সারাবিশ্বকে শয়তানের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে লোকমুখে চাউর আছে।
কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ইউক্রেন-রাশিযার যুদ্ধ বন্ধ করার দিকে মনোনিবেশ করে বিশ্বকে তাঁর প্রতি ইতিবাচক ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছেন।সেই প্রচেষ্টায় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয় কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নেও কাজ শুরু করতে সম্মত হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পরাশক্তি। এ অবস্থায় ফের ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জেই ল্যাভরভ জানান, উভয় পক্ষই তিনটি লক্ষ্য পূরণে ব্যাপকভাবে সম্মত হয়েছে: ওয়াশিংটন ও মস্কোতে তাদের নিজ নিজ দূতাবাসে কর্মী পুনরুদ্ধার, ইউক্রেন শান্তি আলোচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের দল গঠন এবং দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা খুঁজতে।
এর আগে ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন রাশিয়াকে একঘরে করার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন। সেই প্রচেষ্টায় যুক্ত ছিল বেশিরভাগ ‘শক্তিশালী’ ইউরোপীয় দেশ। তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পথ প্রশস্ত করতে কাজ শুরু করেন। এর ফলস্বরূপ রিয়াদে সাম্প্রতি রুশ-মার্কিন বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ রাশিয়াকে ‘ইউরোপীয়দের জন্য অস্তিত্বের জন্য হুমকি’ উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়া আমাদের শত্রু বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের চোখ খুলতে হবে, হুমকির মাত্রা উপলব্ধি করতে হবে এবং নিজেদের রক্ষা করতে হবে।
মস্কোর সঙ্গে ‘অতীতের ভুলগুলো’ স্বীকার করে তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে পদক্ষেপ নেওয়ার। আমরা যদি কিছু না করি, যদি আমরা হুমকির প্রতি অন্ধ থাকি, যুদ্ধ আমাদের সীমান্তের আরও কাছাকাছি চলে আসবে।
তিনি ‘যুদ্ধের চেয়ে আলোচনায়’ জোর দেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেন, প্যারিস অবশ্যই ইউক্রেনে স্থল সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে না।
এর আগে গত সোমবারও ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার বিষয়ে ওয়াশিংটনের ‘নীতি পরিবর্তনের’ ইঙ্গিত পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় নেতাদের পাশাপাশি ন্যাটো ও ইইউ প্রধানদের জরুরি আলোচনার ডাক দিয়েছিলেন ।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পথ প্রশস্ত করতে কাজ শুরু করার চিত্র দেখে বিশ্ববাসীর মনে প্রশ্ন উঠেছে,তবে কি ট্রাম্প কারিশমায় বিশ্ব পাচ্ছে শান্তির সুবাতাশ?