গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, গত দুই-আড়াই বছরে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে আটক ১০৬৭ বাংলাদেশির নাম-ঠিকানাসহ একটি তালিকা পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
গুম কমিশনের পক্ষ থেকে ভারতীয় কারাগারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে থাকা ১০৬৭ বাংলাদেশির নাম-ঠিকানাসহ একটি তালিকা পাওয়া গেছে। আরও তথ্য সংগ্রহের পর তা কমিশনে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রাপ্ত তালিকায় গুমের শিকার কোনো ব্যক্তি রয়েছেন কি না, তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রাপ্তির পর অনুসন্ধান আরও জোরদার করা হবে।
গুম কমিশনের সভাপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী আরও জানান, ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ নামে গুম হওয়া এক ব্যক্তিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিশনের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গুম সংক্রান্ত কমিশনের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নুর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিশনের সদস্য মিজ নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকার কর্মী ও কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন
বাংলাদেশি নাগরিকদের গুম ও বিদেশি কারাগারে আটক থাকার বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম উদাহরণ। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান কতটা কার্যকর হয়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।