মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে চীনের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভারতকে পাশে চায় চীন। শুক্রবার (৭ মার্চ) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র বক্তব্যে সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ন্যাশনাল পিপল’স পার্টির বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, দিল্লি ও বেইজিংকে একত্রে কাজ করতে হবে এবং আধিপত্যবাদ ও পেশীশক্তির রাজনীতির বিরুদ্ধে যৌথ নেতৃত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, হাতি (ভারত) ও ড্রাগনের (চীন) নাচকে বাস্তবে পরিণত করাই একমাত্র সঠিক পথ।
ওয়াং ই তার ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, যদি এশিয়ার দুই সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশ একত্রে কাজ করে, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল হবে। পাশাপাশি, দুই দেশ অতীতের জটিলতা সমাধানে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
ওয়াং ই বলেন, গত বছর থেকে দুই দেশ পারস্পরিক সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দুই দেশ নিজেদের উদ্যোগে যৌথ পদক্ষেপ নিয়েছে। সীমান্ত ইস্যুতে দুই দেশের সংঘাত আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে, যা উভয় দেশের জন্যই ইতিবাচক।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এসব মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।