বিকেল চারটা। পালে দ্য ফেস্টিভ্যাল ভবনের চারপাশে অসহনীয় রোদ উপেক্ষা করে জড়ো হয়েছেন শত শত সংবাদকর্মী ও চলচ্চিত্রপ্রেমী। প্রত্যাশা একটাই—ঐশ্বরিয়া রাই আসবেন!
এ গুজব ছড়িয়ে পড়তেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাংবাদিকরা ছুটে যান ভবনের ‘ইন্ট্রি দ্য আর্টিস্ট’ গেটের সামনে। কারণ, রেড কার্পেটের তারকারা সাধারণত এই গেট দিয়েই প্রবেশ করেন। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পর রাত ১০টায় জানা গেল—ঐশ্বরিয়া আসেননি, এবং আসার কথা ছিলও না।
গুজবটি ছড়িয়ে পড়ে যখন প্রেসবক্সে উপস্থিত সাংবাদিকদের কেউ বলেন, ঐশ্বরিয়া এই গেট দিয়েই প্রবেশ করবেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশি ফটোসাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেনও সেই গুজবে ক্যামেরা নিয়ে গেটের সামনে অবস্থান নেন।
তিনি বলেন, “এর আগে এই গেট থেকেই টম ক্রুজের ছবি তুলেছি। পরে ঐশ্বরিয়ার খবর শুনে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু পরে জানতে পারি, তিনি আসার তালিকায় নেই।”
চারটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকেও সাংবাদিকরা ঐশ্বরিয়ার দেখা পাননি। এ সময় মার্কিন অভিনেতা জেরেমি স্ট্রংসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক তারকা বের হয়ে এলেও ঐশ্বরিয়ার দেখা মেলেনি।
অবশেষে, অতৃপ্তি নিয়ে অনেকেই ফিরে যান। তবে নিওন আলো, সমুদ্রতীরের মৃদু বাতাস আর গান-বাজনার শব্দ সেই বিরক্তি খানিকটা দূর করে দেয়।
গত ১৩ মে থেকে শুরু হওয়া ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনজুড়ে চলছে লালগালিচা, ছবির প্রদর্শনী ও আন্তর্জাতিক তারকাদের আনাগোনা।
এবার মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে রয়েছে ২২টি চলচ্চিত্র। পাশাপাশি ‘আঁ সার্তে রিগা’, ‘মিডনাইট স্ক্রিনিংস’, ‘স্পেশাল স্ক্রিনিংস’সহ বিভিন্ন বিভাগে স্থান পেয়েছে নানা দেশের ও ঘরানার চলচ্চিত্র।
ঐশ্বরিয়া রাই কান উৎসবে ২১ বছর ধরে অংশ নিচ্ছেন। কখনো প্রশংসিত, কখনো ট্রলের শিকার হলেও, তার ফ্যাশন ও উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলেই। এ বছর দ্বিতীয় দিন লালগালিচায় তার হাঁটার কোনো শিডিউল না থাকলেও গুজবে এমন উন্মাদনা প্রমাণ করে, এখনও তিনি আন্তর্জাতিক গ্ল্যামার জগতের এক অনন্য মুখ।