উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত দাবি করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। বুধবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান তিনি।
রাশেদ খান বলেন, “এপিএস মোয়াজ্জেমের দুর্নীতির তদন্ত যেমন হচ্ছে, তেমনি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের মন্ত্রণালয়েও দুর্নীতির খবর গণমাধ্যমে এসেছে। তাই তার বিরুদ্ধেও সমানভাবে তদন্ত হওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, শুধু একজন উপদেষ্টা নয়, প্রত্যেক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো দরকার। কারণ এই সরকার গঠিত হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। অথচ এখন তারা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা স্বৈরাচারী আচরণের প্রতিচ্ছবি।
এপ্রিলে সম্ভাব্য নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, “এই নির্বাচন ঘোষণায় ১/১১ এর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এপ্রিল গরমের সময়, মানুষ ব্যস্ত থাকে ফসল নিয়ে। কম ভোটার উপস্থিতি দেখিয়ে ৪০ শতাংশের নিচে ফলাফল দেখিয়ে পুনঃভোটের নামে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকার কৌশল নিতে পারে।”
রাশেদ খান আশঙ্কা প্রকাশ করেন, “দেশে নতুন করে ১/১১ বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র চলছে, তবে ভিন্ন কৌশলে।”
রাশেদ খান আরও অভিযোগ করেন, “শেখ পরিবারের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। আওয়ামী লীগের পলাতক সন্ত্রাসীরা এখন প্রধান উপদেষ্টাসহ গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের নিয়ে অপপ্রচার করছে।”তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এতসব অপরাধী, বিতর্কিত এমপিরা কীভাবে দেশ ছাড়লো? কারা তাদের সাহায্য করল?” তার দাবি, “সরকারি উপদেষ্টারা এখন এসব পলাতক নেতাদের সম্পদ পাহারা দিচ্ছে।”
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— গণ অধিকার পরিষদের ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রাসেল আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রিহান হোসেন রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।