দেশের ফুটবলে দীর্ঘদিন পর এমন উত্তেজনা দেখা গেছে, যা বাংলাদেশ বনাম সিংগাপুর ফুটবল ম্যাচ ঘিরে জাতীয় স্টেডিয়ামে তৈরি হয়েছিল। গ্যালারিতে উপচে পড়া দর্শক, মুখে প্রত্যাশার আলো—সব মিলিয়ে পরিবেশ ছিল অসাধারণ। তবে শেষ হাসি হাসতে পারেনি স্বাগতিক বাংলাদেশ দল।
খেলার শুরু থেকেই বাংলাদেশের তরুণ দল সিংগাপুরের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে থাকে। ৪০ মিনিট পর্যন্ত খেলায় স্পষ্ট আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের। হামজা, তপু বর্মণ এবং অভিষিক্ত শোমিত সোম একাধিক আক্রমণ তৈরি করেন। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সিংগাপুরের সং উই ইয়ং দুর্দান্ত এক শটে গোল করে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলেন। গোলটি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্যালারিতে নেমে আসে নীরবতা।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের খেলায় গতি বাড়ে। কিন্তু ৫৯ মিনিটে ইকসান ফান্দির শটে সিংগাপুর দ্বিতীয় গোল করে। যদিও প্রথম প্রচেষ্টা গোলকিপার মিতুল প্রতিহত করেছিলেন, পুনর্ব্যবহৃত চেষ্টায় বল জালে জড়িয়ে যায়। এখানে তপু বর্মণের পজিশনিং ভুলের কারণে গোল ঠেকানো সম্ভব হয়নি।
৬৭ মিনিটে হামজা চৌধুরীর তৈরি করা দারুণ এক সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাকিব হোসেন গোল করেন, যা বাংলাদেশের একমাত্র গোল। এই গোলের পর আক্রমণ আরও জোরদার হয়। শেষ দিকে শাহরিয়ার ইমন একটি দুর্দান্ত হেড নেন, যা গোলরক্ষকের আঙুল ছুঁয়ে বাইরে চলে যায়।
ম্যাচ শেষে রাকিব হোসেন বলেন— “সকলেই চেয়েছিলেন বাংলাদেশ জয় পাক। আমরা দুঃখিত, সেটা হয়নি। তবে সামনে হংকংয়ের বিপক্ষে ভালো কিছু করব বলে আশা রাখছি।”
হারের দুঃখ থাকলেও তরুণ ফুটবলারদের লড়াকু মানসিকতা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়।