
প্রথম ওয়ানডেতে জয় পেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে হেরে সিরিজে সমতা ফেরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ছিল একপ্রকার অলিখিত ফাইনাল। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং-বোলিং প্রদর্শনে ১৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে টাইগাররা।
এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ২–১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এটি ওয়ানডে ক্রিকেটে রানের হিসেবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জয়। এর আগে ২০২৩ সালে সিলেটে আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে হারিয়েছিল টাইগাররা, যা এখনও সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় হিসেবে রেকর্ডবুকে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে ব্যাট করেন সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। এই দুই ওপেনার মিলে ১৭৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দেন।
তবে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় তিনশ রানের ঘর ছোঁয়া সম্ভব হয়নি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা।
সাইফ হাসান ৭২ বলে ৮০ রান করেন, আর সৌম্য সরকার মাত্র ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন — ৮৬ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৪ ও তাওহিদ হৃদয় ২৮ রান যোগ করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আকিল হোসেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। বাংলাদেশের স্পিনারদের তোপে দলীয় ৫০ রানের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা।
অ্যালিক অ্যাথানেজ ১৫, ব্র্যান্ডন কিং ১৮, শাই হোপ ৪ ও আকিম অগাস্ট কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন। এরপরও কেউই দলকে টানতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ৩০ ওভার ১ বল খেলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয় ১১৭ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে আলিক হোসেনের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের হয়ে নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন নেন ৩টি করে উইকেট, আর মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানভীর ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট।
এই জয়ের ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জয় পেল বাংলাদেশ, যা দলের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াবে। বিশেষ করে তরুণ ব্যাটারদের পারফরম্যান্স এবং স্পিন আক্রমণে নিয়ন্ত্রণই জয় এনে দিয়েছে টাইগারদের।
বাংলাদেশ এখন সামনের আন্তর্জাতিক সূচির জন্য আত্মবিশ্বাসীভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা।