
রাজধানী ঢাকায় শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রথমে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৩.৭। তবে পরে আপডেট তথ্য দিয়ে জানানো হয়, ভূমিকম্পটির প্রকৃত মাত্রা ছিল ৪.৩।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানীর বাড্ডা এলাকা, যা আগারগাঁও সিসমিক সেন্টার থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। দ্রুত অনুভূত এই ঝাঁকুনি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে।
আবহাওয়া অফিসের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবাঈয়্যাৎ কবীর বলেন, “শনিবার সন্ধ্যায় হালকা থেকে মাঝারি ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার বাড্ডা। প্রাথমিকভাবে মাত্রা ৩.৭ বলা হলেও পরে ৪.৩ নিশ্চিত হয়েছে।”
এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস (USGS) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪.৩, তবে তাদের তথ্য অনুযায়ী উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী থেকে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
এর আগে আজ সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় অনুভূত হয় ৩.৩ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প, যার উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর পলাশ উপজেলা। যদিও শুরুতে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, উৎপত্তিস্থল সাভারের বাইপাইল।
এরও আগে শুক্রবার সকালে দেশজুড়ে অনুভূত হয়েছিল ৫.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী উপজেলা। এতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভবন কেঁপে ওঠে, দেয়ালে ফাটল দেখা দেয় এবং আতঙ্কিত মানুষ ছুটোছুটি করে বেরিয়ে আসে। ওই ঘটনায় দুই শিশুসহ ১০ জন নিহত এবং ৬০০-এরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
দেশে পরপর তিনদিনে তিনটি ভূমিকম্পের ঘটনা বিশেষজ্ঞদের মতে সতর্কবার্তা। তারা বলছেন, ভূমিকম্পপ্রবণ বাংলাদেশে ভবন নিরাপত্তা, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ভূমিকম্প সচেতনতা আরও জোরদার করা জরুরি।