
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যক্ষ মনিরুল হক বাবুল কোনো আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
আগামী ৮ নভেম্বর দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী ২৫ অক্টোবর মনোনয়নপত্র বিতরণের সময়সূচি নির্ধারিত ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার মৌখিকভাবে জানান যে “অনিবার্য কারণবশত নির্বাচন ও মনোনয়ন ফরম বিতরণ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হলো।” তবে তিনি এ সিদ্ধান্তের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করেননি।
প্রেসক্লাবের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রেসক্লাবের মতো একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যেই পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এতে শুধু সাংবাদিকরাই নয়, উপজেলা পর্যায়ের সুধীজন ও রাজনৈতিক মহলেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
একাধিক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্ত দিঘলিয়ার সাংবাদিক সমাজের জন্য হতাশাজনক। আমরা চাই গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।”
এ বিষয়ে উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্যরা খুলনা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তাদের সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক সমাজের দাবি, প্রেসক্লাবের নির্বাচন যেন কোনোভাবেই ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থের কারণে বিলম্বিত না হয় এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশে তা দ্রুত সম্পন্ন হয়।