
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাটা (ভৈরব নদে) ফেরিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ট্রাক শ্রমিক ও ফেরির ইজারাদার কামাল মিয়ারের কর্মীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিঘলিয়া থানা পুলিশ ও নৌবাহিনীর দিঘলিয়া কন্টিনজেন্টের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলা প্রশাসন ফেরির চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল প্রায় ৯টার দিকে একটি অজ্ঞাত ট্রাক নগরঘাটা ফেরি পার হয়ে খুলনার দিঘলিয়া পারের দিকে যাচ্ছিল। ফেরিতে ট্রাক পারাপারের জন্য ২৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও ট্রাক চালককে ১,২০০ টাকা দাবী করা হয়। এতে ট্রাক চালক ও ফেরির ইজারাদারের কর্মীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়।
পরবর্তীতে সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৭টায় ট্রাক চালকের পক্ষে ২০-২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি ফেরিতে এসে ইজারাদারের ম্যানেজার কাকন ও রাজুকে খুঁজতে থাকেন। এ সময় ফেরি স্টাফ মিঠুনকে কাকনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং একপর্যায় মিঠুনকে মারধর করা হয়।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ ও যৌথ বাহিনী কমান্ডারের উপস্থিতিতে প্রশাসনের নজরদারিতে ফেরি পুনরায় চালু করা হয়েছে। পুলিশ মোতায়েনের মাধ্যমে নিরাপদে ফেরি চলাচল নিশ্চিত করা হয়েছে। দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন জানিয়েছেন, আগামী ১০ তারিখে ফেরি টোল ও শ্রমিকদের বিষয় নিয়ে স্থায়ী সমাধান নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নগরঘাট ভৈরব নদে ফেরিতে নিয়মিতভাবে নির্ধারিত টোলের চেয়ে বহুগুণ বেশি আদায় করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হলেও এ পর্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বর্তমানে ফেরি পরিচালনায় প্রশাসনের সরাসরি নজরদারির মাধ্যমে টোল আদায় ও সেবা স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে।