গাজার উত্তরাঞ্চলে জাতিসংঘের ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে অন্তত ৬৭ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫০ জনের বেশি, যাদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২১ জুলাই)।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছিল। তবে ভিডিও ও চাক্ষুষ প্রমাণে দেখা যাচ্ছে, নিরস্ত্র মানুষদের ওপর এই হামলা চালানো হয় যখন তারা শুধুমাত্র খাবারের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করছিলেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একই দিনে গাজার অন্যান্য অংশেও ত্রাণের জন্য অপেক্ষাকালে আরও ছয়জন নিহত হন। আগের দিন শনিবারও এমন হামলায় প্রাণ হারান ৩৬ জন। ফলে মাত্র দুই দিনেই নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
আহতদের মধ্যে অনেককেই নেয়া হয় গাজার শিফা হাসপাতালে। হাসপাতালটির পরিচালক ড. হাসান আল-শায়ার বিবিসিকে জানান, তারা আহতদের সামাল দিতে পারছেন না। অনেক রোগীকে কাছাকাছি ফিল্ড হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে চিকিৎসা সংকটের কারণে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার জনগণ মারাত্মক খাদ্য সংকটে ভুগছে এবং সেখানে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সরবরাহ বাড়ানো জরুরি।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার কেন্দ্রীয় শহর দেইর আল-বালাহ থেকে স্থানীয় বাসিন্দা ও শরণার্থীদের সরে যেতে বলেছে। তাদের ভূমধ্যসাগর উপকূলের আল-মাওয়াসি অঞ্চলে যেতে বলা হয়, যা নতুন হামলার পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দ্রুত মানবিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে।