“হাসিনা চ্যাপ্টার ক্লোজড, আওয়ামী লীগ আর কখনো ফিরবে না”—এভাবেই ঝিনাইদহে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে ঘোষণার সুরে বক্তৃতা দিলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বুধবার রাতে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত পদযাত্রা ও পথসভায় তিনি এই বক্তব্য রাখেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে শেখ হাসিনাকে টেরোরিস্ট হিসেবে প্রশ্রয় দিচ্ছে গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদি। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ দুটোই সন্ত্রাসী সংগঠন।” তিনি অভিযোগ করেন, “ভারতে বসে হাসিনা আমাদের বিপ্লবীদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ আর কখনো বাংলাদেশের মাটিতে ফিরতে পারবে না।”
সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেন এনসিপি নেতারা। হাসনাত স্পষ্টভাবে বলেন, “আমরা নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার চাই। এই সংগ্রাম দেশ পুনর্গঠনের যুদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সময়ের অধিকাংশ সাংবাদিককে শুধু একটি পরিচয়পত্র ও বুম ধরিয়ে দেওয়া হয়, বলা হয়—এলাকায় গিয়ে নিজে খেয়ে নাও। এই পেশা আজ চরম আর্থিক দুরবস্থায়।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, ডাক্তার তাসনীম জারা, তারেক রেজা, শহীদ সাব্বিরের পিতা আমোদ আলী, এবং শহীদ রাকিবের মা হাফিজা খাতুন।
নাহিদ ইসলাম বিএসএফের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে বলেন, “ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে মারছে বিএসএফ। এ বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে। আমাদের এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে।”
তিনি জানান, এনসিপি সংস্কার, আওয়ামী লীগের বিচার, নতুন সংবিধান এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া আন্দোলন শেষ করবে না।
সমাবেশ ঘিরে ঝিনাইদহ শহরের রাজপথ ছিল রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে সজ্জিত। নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ, যা অনেকের কাছে একটি নতুন রাজনৈতিক জাগরণের সূচনা হিসেবে মনে হয়েছে। এনসিপির জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতারা দিনরাত কাজ করে এই কর্মসূচিকে সফল করেছেন।