পিরোজপুরের বহুল আলোচিত জামাল হত্যা মামলায় তিনজন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত, একইসাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—সদর উপজেলার গুয়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত সেকান্দার আলী শেখের ছেলে মজিবর শেখ, কুমিরমারা গ্রামের মোখলেছ হাওলাদারের ছেলে ফোরকান হাওলাদার, এবং মরিচাল গ্রামের মৃত খালেক শেখের ছেলে মোঃ মাহাবুব।
রায় ঘোষণার সময় আসামি ফোরকান পলাতক ছিলেন, তবে মজিবর শেখ ও মাহাবুব আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল রাতে জামাল হাওলাদার তাঁর নিজ গ্রামের ফেরিঘাটে চায়ের দোকানে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় কুমিরমারার স্লুইস গেট এলাকায় পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হামলার শিকার হন তিনি। ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
পরে জামালকে ট্রলারযোগে হুলারহাট বাজারের খালের পাশে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। রাত ১টার দিকে নৈশপ্রহরী আনছার আলী তাঁকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত জামালকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন জামালের ভাই কামাল হাওলাদার পিরোজপুর সদর থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনার পর বিচারক আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আকন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল কবীর বাদল।