
জামালপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ডিলারশিপ বন্টন এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে মনির নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্থানীয় কয়েকজন ডিলার এবং সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিএডিসির বিভিন্ন স্তরে প্রভাব খাটিয়ে ডিলারশিপ বন্টনে অনিয়ম করছেন। তাদের অভিযোগ, প্রকৃত ডিলাররা বঞ্চিত হলেও টাকা লেনদেনের মাধ্যমে নতুন ডিলারশিপ দেওয়া হয়—এ অভিযোগে মনিরের নামই সামনে এসেছে।
অভিযোগকারীরা জানান, বিএডিসির উপপরিচালক থেকে শুরু করে নিচের স্তরের কর্মচারীরাও তার কথায় চলতে বাধ্য হন বলে তারা দাবি করেন। তাদের বক্তব্য মতে, বিএডিসির কাজের বিভিন্ন ধাপ, বিশেষ করে ডিলার নির্বাচন, সার সরবরাহ এবং কাগজপত্র যাচাইয়ের ক্ষেত্রেও তার প্রভাব দেখা যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই প্রভাবশালী ব্যক্তি বিএডিসি–কেন্দ্রিক সব ধরনের অনিয়মের “সাক্ষী” হয়ে উঠেছেন এবং সেই সুযোগে আর্থিকভাবে উল্লেখযোগ্যভাবে লাভবান হয়েছেন। তাদের দাবি, নিরীহ কৃষকরা সার ও কৃষি উপকরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, আর সেই ক্ষতির মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শহরের কেন্দ্রে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অভিযোগকারীরা। তাদের দাবি, বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে এলে জামালপুরের কৃষি উপকরণ ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ হবে এবং কৃষকরা ন্যায্য সুবিধা পাবেন।
অভিযোগের বিষয়ে মনির বা সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো মন্তব্য দেননি। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
বিস্তারিত তদন্ত–সংক্রান্ত আপডেট শিগগিরই প্রকাশ করা হবে…