যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও মৎস্য ব্যবসায়ী হিরন শিকদারকে (৩৬) মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। রাতের অন্ধকারে নদী সাঁতরে খুলনার দিঘলিয়ায় পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র ও যৌথবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, গত ৩ আগস্ট রাত ১১টার দিকে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে মিটিং শেষে হিরন শিকদার মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নোলামারা সুইচগেটের দক্ষিণ পাশে পৌঁছালে পাকা রাস্তার ওপর গাছ ফেলে তার গতিরোধ করে সন্ত্রাসীরা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন অভয়নগর থানা বিএনপির সভাপতি মতি ফারাজী, ইউনিয়ন সভাপতি আকবর আলী খান, সাবেক চেয়ারম্যান সরো ফরাজী ও কামরুল ফারাজীর ছেলে রফিকুল ফারাজীসহ ১০-১৫ জন মুখোশধারী হামলাকারী। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হিরনের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেন এবং হত্যার উদ্দেশ্যে কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করতে উদ্যত হয়। তবে হিরন সাহসিকতার সঙ্গে তাদের ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পাশের পানের বরোজে আশ্রয় নেন।
পরে সুযোগ বুঝে হিরন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার নন্দনপ্রতাপ গ্রামে পৌঁছান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
হামলার বিষয়টি দিঘলিয়া থানার মাধ্যমে অভয়নগর থানায় জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং কৃষক দলের নেতাকর্মীরা হামলার বিচার ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।