
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঝিনাইদহ জেলা কমান্ড অনুমোদনের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলার মুক্তিযোদ্ধারা। শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতির ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝিনাইদহ শহীদ জিয়াউর রহমান ল কলেজের অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম মশিয়ুর রহমান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল আলীম, গোলাম মোস্তফা লোটন, মো. রেজাউল ইসলাম, মো. ইসরাইল হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান ও লিয়াকত আলীসহ জেলার অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন, গত ৫ জুলাই কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, জেলা কমান্ড গঠন করতে হবে উচ্চতর ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ঝিনাইদহ জেলা কমান্ডে এমন তিনজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে—যাদের কেউই উচ্চতর ট্রেনিংপ্রাপ্ত নন। বরং তাঁরা বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং অবৈধ সুবিধা ভোগ করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন মুক্তিযোদ্ধারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, জেলার পক্ষ থেকে চারটি কমিটি প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও, প্রস্তাবিত তিন কমিটির কাউকেই না জানিয়ে গোপনে একটি প্যানেল থেকে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ঘোষিত কমিটির আহ্বায়কের ছেলে বিগত সরকারের নিয়ন্ত্রিত মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব ছিলেন। এছাড়া ঘোষিত কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে ছয়জন ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন, ফলে কমিটির কোনো আইনি বৈধতা নেই বলেও দাবি করা হয়।
বক্তারা বলেন, “দেশের সরকার পরিবর্তন হলেও, দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবন বাজি রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আজও প্রতারণা করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।”
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বর্তমান জেলা কমান্ড অবৈধ। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। অন্যথায় এর দায়ভার কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকেই নিতে হবে।”