ঝিনাইদহের শৈলকুপায় একটি মর্মান্তিক নারী নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানো, এমনকি ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষকদল নেতা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শৈলকুপা উপজেলার কৃষকদল সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম এবং তার ছেলে নাজমুল খন্দকারসহ চারজনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। থানায় দায়ের করা পৃথক অভিযোগের তদন্তে সত্যতা পেয়েছে পুলিশ, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সম্রাট মন্ডল।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ভুক্তভোগী নারী ও নাজমুল খন্দকারের মধ্যে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন নাজমুল। সম্পর্কের বিষয়টি নাজমুলের পরিবার জানলেও মেনে নেয় এবং নারীটি নিয়মিত তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে নারীটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে পরিবারের আচরণ পাল্টে যায় এবং তাকে গর্ভপাত করানো হয়। ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকার রয়েল ক্লিনিকে গোপনে ভর্তি করে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানো হয়। চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগেই নাজমুল ও তার পরিবার নারীটিকে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে নানা ভাবে হুমকি ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য “দুই বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। তার বাড়িতে যাওয়া-আসা করতাম। বিয়ের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার পর তারা মারধর শুরু করে। পরে জোর করে গর্ভপাত করিয়ে দেয়,” — বলেন ভুক্তভোগী নারী।
পুলিশের বক্তব্য, শৈলকুপা থানায় ভুক্তভোগী নারী একটি পৃথক অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে, জানালেন এসআই সম্রাট মন্ডল।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার কর্মীরা।
এদিকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা উদ্বেগজনক বলেও মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।