বাংলাদেশের ইতিহাসে বীরত্বগাথা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার তীব্র প্রতিরোধে নেতৃত্বদানকারী সাহসী নেতাদের একজন হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তিনি রাজপথে থেকে আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিয়ে সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ওইদিনই প্রায় ২৯০ জন শহীদ হন পুলিশের গুলিতে, কিন্তু কৃষিবিদ শামীম পিছু হটেননি।
এমনকি আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে যখন তার প্রিয় সহধর্মিণী আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন, তবুও তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজপথে উপস্থিত ছিলেন একমাত্র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে।
দুঃখজনকভাবে ৩০ জুলাই তার সহধর্মিণী ইন্তেকাল করেন, কিন্তু র্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর বাধায় জানাজা ও দাফনেও উপস্থিত থাকতে পারেননি। ব্যক্তিগত শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে তিনি আবারো ঝাঁপিয়ে পড়েন রাজপথের আন্দোলনে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশনা এবং তারেক রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কৃষিবিদ শামীম আজও সংগ্রাম করে চলেছেন বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে আছে ফ্যাসিস্ট শাসন পতনের দিন হিসেবে। ছাত্র-জনতার ত্যাগ ও প্রতিরোধের মুখে সেদিন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে বাংলাদেশের দীর্ঘ স্বৈরাচারী দুঃশাসনের অবসান ঘটে।