‘জুলাই’ গনঅভ্যূত্থান আওয়ামী লীগের জনবিচ্ছিন্নতার- অহংকার-অত্যাচার-গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের ও দলীয় লুটপাটের বিরুদ্ধে গন-আশার প্রতিফলন।
গন-আশার এই সারমর্মকে উপজীব্য করে ভূ-রাজনীতির দখলকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা তার সহযোগী ইসরায়েলকে নিয়ে সফল হয়েছে বাংলাদেশকে তছনছ বা ছন্নছাড় করতে-একথা আজ রিক্সা চালকরাও বোঝে। কিন্তু ভারত বুঝলো না বুঝলো না আমার দেশের মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাংগানো দল আওয়ামী লীগ তাই তারা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত। করেছে ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের পাশ্ববর্তী কিছু শান্তিপ্রিয় দেশের ভবিষ্যৎকেও
! বুঝতে পারলো না আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রজন্মের কিছু সম্মিলিত লোভী এজেন্ট প্রতিবন্দ্বীরা এখনোও বুঝতে পারেনি কিন্তু জনগন বুঝেছে তারাও ঠিক যেন আওয়ামী লীগের মতো চরিত্রে গুনাম্বিত! ঐ সকল অপরিণামদর্শীরা বাংলাদেশি এজেন্টরাই কি সাম্রাজ্যবাদীদের গোলাম হয়ে এদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বানানোর চ্যালেঞ্জে শুধু আওয়ামীলীগের এমপি মন্ত্রীদের মতো লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করছে? আওয়ামী লীগের দলীয় নেত্রীর পিয়নের মতো ৪০০ কোটি টাকার মালিক হন বর্তমান উপদেষ্টারও পিয়ন বলে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে! আট উপদেষ্টার দূর্ণীতির প্রমানের চ্যালেঞ্জ ও বিভিন্ন নতুন দলের চাঁদাবাজীতে স্তব্ধ জাতী! উপদেষ্টারা তাহলে কি শুধু লুটপাট ও বাংলাদেশের অর্থনীতি ও নিজ কর্জ মওকুফ করে দেশের ইতিহাস সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে আসছেন? দেশের সর্বত্রই এখন প্রকাশ্যে সমালোচনা চলছে!
গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত দেশ ও সারা বিশ্ব কেঁপে গেছে আট উপদেষ্টা ও তাঁর পিয়নদের অবৈধ আয়ের নিয়োগ ও বদলী বানিজ্যের কথা শুনে! যা ছিলো গোপনে তা এবার প্রকাশ্যে এনে বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার! ‘জুলাই গন-অভ্যূত্থানের প্রত্যাশা ও আগামী দিনের প্রশাসন’ শীর্ষক সেমিনারে গত শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলতায়নে এই মহৎ ও গুনী ব্যাক্তি জনাব, এ বি এম আব্দুস সাত্তার এই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন! যদিও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
পাড়া মহল্লায় আওয়ামী লীগ আমলের মতোন টাকা পয়সা থাকা ব্যাক্তিদের বিভিন্ন দলীয় বা ভিন্ন কোন তকমা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখলাখ টাকা বলে অভিযোগ ৫ ই আগষ্টের পর থেকে। এখনও যা চলমান তাহলে গণমানুষের জুলাই প্রত্যাশা নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগতো থাকছেই!
‘জুলাই’ বৈষম্যের কবর রচনার একটি মহৎ প্রচেষ্টা ও সুযোগ ছিলো কিন্তু এর তলদেশ ছিলো প্রতারণায়-লুটপাটের হাতছানি! যা জাতীতে আরোও সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বৈষম্যের মুখোমুখি করে তুলেছে! এর পরিণতি কি হবে তা কল্পনারও বাহিরে।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাতীকে বর্তমানদের তলদেশের খবর ও বিএনপির ইমেজ ফিরিয়ে আনতে,সাধারণ জনতার দুমুঠো ডাল ভাত ও নিরাপত্তার নিশ্চিতে এমনকি জুলাই আন্দোলনের সার্থকতা রক্ষায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব জনাব,এ বি এম আব্দুস সাত্তারের সমালোচনা যেন জুলাই বেদনাসিক্ত বাংলাদেশের গণমানুষের ভাষা ও উপলব্ধি প্রকাশ পেয়েছে। তিনি এই কান্ডারীহীন জাতীর ভবিষ্যত উজ্জ্বল করতেই দেশপ্রেমের একটি উদাহরণ হয়ে থাকবেন।ইতিহাসে তিনি থাকবেন সাহসী এক সমালোচক হিসেবে যা বিএনপি ও সাধারণ জনতা যদি জারি রাখে সাথে গণমাধ্যমও তবেই সার্থক হবে জুলাই গন-অভ্যুত্থান।