ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির এক রাজনৈতিক সমাবেশে বাবার হত্যার বিচার চেয়ে কেঁদে উঠলেন শহীদ ইউনুছ আলীর মেয়ে জমিলা খাতুন। তিনি বলেন, “আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে, তারা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।” জমিলা তার বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “আমার বাবার ও চাচার (মোহাব্বত আলী বিশ্বাস) হত্যার বিচার চাই।”
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকালে কালীগঞ্জের সরকারি ভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এই বক্তব্য রাখেন। সমাবেশটি ছিল ১৭ বছর আগে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ বিএনপি নেতাদের স্মরণে আয়োজিত।
সমাবেশের প্রধান অতিথি উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ বলেন, “দীর্ঘ সংগ্রামের পর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু তাদের দোসররা এখনো চক্রান্তে লিপ্ত।” তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের প্রতিদান দিতে হবে। হত্যাকারীদের বিচার করতেই হবে।”
এসময় তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা মানবিক পুলিশ চাই, যারা সত্যিকারের অপরাধীদের ধরবে। কালীগঞ্জে দুই বিএনপি নেতার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।”
সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আতিয়ার রহমান। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আনোয়ারুল ইসলাম রবি, আবুল কালাম আজাদ, নজরুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য সচিব মাহাবুবুর রহমান মিলন, সাবেক ছাত্রনেতা বাবলুর রহমান, আশরাফুজ্জামান লাল, মাজহারুল আনোয়ারুল প্রিন্স, নিহতদের ভাই ইয়াকুব আলী বিশ্বাস, গোলাম রব্বানি, মিজানুর রহমান লান্টু, ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল আলীম, প্রভাষক এমএ মজিদ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল কালীগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শহীদদের আত্মত্যাগের স্মরণ এবং ন্যায়বিচারের আহ্বান জানানো হয়।