এক কিশোরীকে উদ্ধারে এসে মারপিটে শিকার হয়ে পুলিশ সদস্য আহতের ঘটনায় থানাতে মামলার পর গণ গ্রেফতার আতংকে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বাকুলিয়া গ্রাম। এ নিয়ে আতংকিত গ্রামবাসীরা গণ গ্রেফতার ও ঘটনার সময়ে গ্রামের নারী পুরুষ শিশুদের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বুধবার এক মানববন্ধন করেছে। ভূক্তভোগী বাকুলিয়া গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী খয়েরতলা গ্রামের প্রায় শতাধিক নারী মহাসড়কে এসে এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। উল্লেখ্য গত সোমবার বিকালে বাকুলিয়া গ্রামে পুলিশ আহতের ঘটনা নিয়ে রাতে পুলিশের মামলায় ওই গ্রামের ৪ জনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়। সেই থেকেই গ্রামটিতে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে।
বুধবার সকালে খয়েরতলা ও বাকুলিয়া গ্রামবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বাকুলিয়া গ্রামের ষাটোর্ধ সুফিয়া খাতুন নামে এক বৃদ্ধা বলেন, ওইদিন পুলিশ সাদা পোশাকে গ্রামে এসে অকারনে আমাদের বাড়ির নারী পুরুষদের মারপিট করে। মারপিটে মাছুরা খাতুন নামে এক নারী রক্তাক্ত আহত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত নারীরা আরো বলেন, পুলিশ মামলা দিয়ে গ্রামের নিরিহ লোকজনকে আটক করছে। এই ভয়ে তাদের গ্রামের পুরুষ সদস্যরা বাড়ি ছাড়া। তারা এই হয়রানী ও পুলিশের কর্মকান্ডের সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
এ নিয়ে সরেজমিনে বাকুলিয়া গ্রামটিতে গিয়ে ইমাদুল ইসলাম সহ কয়েকটি বাড়িতে গেলেও কোন পুরুষ সদস্যকে দেখা যায়নি। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নারী জানায়, পুলিশ গ্রামের যাকে তাকে আটক করছে। এই ভয়েই তাদের পুরুষ সদস্যরা বাইরে বাইরে থাকছেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, যশোর কোতয়ালী থানার পুলিশ কালীগঞ্জে এসে আহতের ঘটনায় ওইদিন রাতে যশোর চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই শওকত হোসেন বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৬০/৭০ জনের নামে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় অভিযুক্ত ৪ জনকে আটক করা হলেও কোন নিরিহ মানুষকে তারা হয়রানী করছে না।